২৬ সেপ্টেম্বর, শাকিল মহিনউদ্দিন, হাজিরতন, মেটিয়াবুরুজ#
মাথার ওপর কালো ঘনঘটা, নিচে প্রাণঘাতী বন্যার প্রবল স্রোত। নাজেহাল মানুষ একটু উঁচু টিলার সন্ধান করে। তারা আকাশের দিকে তাকায়, স্বজনহারার বুকফাটা আর্তনাদ অজান্তেই ছড়িয়ে পড়ে আকাশে-বাতাসে। পৌঁছায় আরও অনেক দূরে অনেক মানুষের কানে। হাতের পর হাত প্রসারিত হলে আশা জাগে, দুর্গত বিধ্বস্ত মানুষের মুখে কিঞ্চিৎ হাসি ফোটে, ‘এই তো অনেকেই রয়েছে আমাদের পাশে’! যারা পাশে দাঁড়ায়, তারা চাওয়া-পাওয়া, দেনা-পাওনার বিষয়কে তুচ্ছ করে দরজায় দরজায় কড়া নাড়ে — ‘একটু সাহায্য করুন না, একটু কাটছাঁট করুন না ঈদ-পুজোর ব্যয়ভার …’। আমাদের চারপাশে পাড়ায় মহল্লায় এদের আমরা চিনি, বিপর্যয়কালে এরা হাজির হয় আমাদের সামনে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কাশ্মীরের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত কয়েক লক্ষ মানুষের জন্য এদের লম্বা হাত আমাদের গর্বিত করে।
দান-ধ্যানে বরাবরই অগ্রগণ্য মেটিয়াব্রুজ মহেশতলার বৃহত্তর অঞ্চল। মেটিয়াব্রুজ মহেশতলার হাজী সেবা সমিতি ও দর্জিমঙ্গল সমিতি, বড়তলায় এদের কেন্দ্রীয় দপ্তর, এই দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কাশ্মীরের বন্যাদুর্গতদের জন্য অর্থ ও বস্ত্র সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে পাঠানো শুরু হয়েছে। ইদুজ্জোহার পরেও সেই প্রয়াস জারি থাকবে বলে জানালেন এই উদ্যোগের কর্ণধারেরা।
ত্রাণ সংগ্রহকে আরও গতি দিতে চলছে প্রচারকার্য। মসজিদে মসজিদে পাড়ায় পাড়ায় লিফলেট বিলির মাধ্যমে চলছে জোর তৎপরতা। মাইক প্রচারের মধ্য দিয়ে সকলকে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের দায়দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন করার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply