সোমনাথ চৌধুরি, কোচবিহার, ১৯ জুন, ছবি এবং তথ্যের সূত্র এখানে #
ইদানিংকালে এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইল কাশ্মীর উপত্যকা। সোমবার ১৭ জুন গান্দেরবাল জেলার তুলমুল্লা শহরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাৎসরিক মিলনমেলা ‘ক্ষীরভবাণী’ উৎসব ছিল। এই উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্যে এগিয়ে এল ওই অঞ্চলের মুসলীম সম্প্রদায়। ‘কাশ্মীরীয়ৎ’ এর এক অনন্য নজীর সৃষ্টি হল। এক অভিন্ন উৎসবে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সামিল হল। এই জ্যেষ্ঠা অষ্টমী তিথির উৎসবে যোগদান করার জন্য জম্মু এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৫০০০ পণ্ডিতের (যাদের মধ্যে অনেকেই কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়েছিল আগে) আগমন ঘটে। উপস্তিত সকল পণ্ডিতদের উষ্ণ অভ্যর্থনা করার জন্যে মন্দিরের বাইরে মুসলীম সম্প্রদায়ের প্রায় কয়েক’শ মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুধু পূজোতে সাহায্য করাই নয়, পুরাতন হৃদ্যতা, ও পুরোন সম্পর্ককে নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াসের এটাও হয়তো একটা কারন। পুজার উপকরণ বিক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দোকান, প্রদীপ-ফুল-দুধ ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছিলেন এই মুসলীমরাই। এই ব্যাপারে APMCC (ALL PARTIES MIGRANTS COORDINATION COMMITTEE) এড় সভাপতি শ্রী বিনোদ পন্ডিত বলেন ‘দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এটাই হল পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস অর্জনের প্রকৃত মাপকাঠি। জেলা উন্নয়ণ অধিকর্তা শ্রী শারমাদ হাফিজের কথা থেকে জানা যায়, বাইরে থেকে আসা পণ্ডিতেরা ওই অঞ্চলের অধিবাসী কাশ্মীরি মুসলীমদের বাড়িতেই আতিথ্য গ্রহন করে। অল্পবয়েসিদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে তীর্থযাত্রীদের জল ও ফলের রস সরবরাহ করে।
মূখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা সকালে ‘ক্ষীরভবাণী’ পরিদর্শন করেন। যদিও শরণাথী কলোনীতে বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পরতে হয়।
sanjay ghosh says
it is a excellent news item ,congratulation to somnath choudhury and sanbad manthan for publiisize such a excellent news, expect more in futur
sanjay ghosh says
this report or other like this should have a chance to forwarded to others or other places like facebook where hundreds of reader can read it . the wrong ideas are propagated about kashmir wishfully by government and medias who have a bad intention should be contested by this type of reports .we want more propaganda of this type of reports world wide.