৯ জুন, শাহিনা পারভীন, মেটিয়াবুরুজ#
এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে একটা বিশেষ সুবিধা হল অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করা যাচ্ছে। কিন্তু এইভাবে ফর্ম ভরতে গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রতি কলেজই তাদের কাছাকাছি ব্যাঙ্কে চালান-এর টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে অনেক কলেজের নির্দেশিত ব্যাঙ্ক ছাত্রছাত্রীদের কাছে এতই অপরিচিত যে অনেকেই সেইসব ব্যাঙ্কের নামই শোনেনি। সেইসব ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যাও খুবই সীমিত। যেমন, মহেশতলা কলেজের নির্দেশিত ব্যাঙ্কের নাম বিজয়া ব্যাঙ্ক। আবার অনেক কলেজের চালানের প্রিন্ট আউটের মধ্যেই সেই কলেজের কাছের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখার উল্লেখ করে দেওয়া আছে। যেমন, নিউ আলিপুর কলেজের নির্দেশিত ব্যাঙ্কের নাম কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক। ফলে অনলাইন ফর্ম ফিল-আপ করেও ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের এলাকার চেনাজানা কাছাকাছি শাখায় টাকা জমা করতে পারছে না। তাদের ছুটতে হচ্ছে সেই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে। সেখানে এই বীভৎস গরমে টাকা জমা দেওয়ার বিরাট লাইন ঠেলতে হচ্ছে। যেসব কলেজ অপরিচিত ব্যাঙ্ক এবং তার নির্দিষ্ট শাখার উল্লেখ না করেই চালান ছাড়ছে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। তবে কোনো শাখায় প্রচণ্ড ভিড় দেখে আবার অন্য শাখায় ছুটতে হচ্ছে। যখন কলেজ থেকে ফর্ম তোলা এবং জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, তখন তাদের একাধিক কলেজে ছুটতে হত। সেদিক থেকে কিছুটা সুবিধা পেয়েও ব্যাঙ্কের শাখা খুঁজতে গিয়ে তারা নাজেহাল।
Leave a Reply