মনিথানেলিয়া মাক্কাল কাচি-র আবদুল সামাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে ডায়ানিউক ডট অর্গ-এর রিপোর্ট#
চেন্নাই-এর কলপক্কম পরমাণু প্রকল্পের (মাদ্রাজ অ্যাটমিক পাওয়ার স্টেশন) চারদিকের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিবাদ শুরু করছে ওই পরমাণু প্রকল্পের সম্প্রসারণের প্রতিবাদ জানিয়ে। তারা চায়না, নতুন করে আর কোনও পরমাণু চুল্লি ওখানে বসানো হোক। একটি ৫০০ মেগাওয়াটের ফাস্ট ব্রিডার রিয়্যাক্টরের কাজ চলছে সেখানে এক যুগ ধরে। গ্রামবাসিরা দাবি জানিয়েছে, ওই চুল্লি বাতিল করতে হবে। তাছাড়া ওই এলাকাতেই পরমাণু বর্জ্য ফেলারও প্রতিবাদ করেছে তারা। ওই পরমাণু চুল্লিগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ তৈরি হয়, তার ওপর অধিকার আশেপাশের গ্রামের মানুষের সবার আগে, জানিয়েছে প্রতিবাদকারীরা। তারা দিনে ১০ ঘন্টা করে লোডশেডিং-এ ভোগে, আর ১০ কিলোমিটার দূরে কলপক্কম টাউনশিপে যারা থাকে তারা ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পায়।
এইসমস্ত দাবি নিয়ে আজ ২৮ মার্চ অন্তত ছ’টি জায়গায় অনশন ও অবরোধে হাজারের বেশি গ্রামবাসী সামিল হয়। পুলিশ অবরোধ তুলে নিতে বললে অন্তত সাড়ে ছ’শ জন গ্রেপ্তার বরণ করে। সাধারণত এইসব ক্ষেত্রে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তারদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতিবাদ যেহেতু পরমাণু চুল্লির বিরুদ্ধে, তাই জন্য পুলিশ ওই সাড়ে ছ’শ জন (যার মধ্যে অন্তত ২০০ জন মহিলা) -কে তিনটি শহর : গুরুভানচেরি, সিঙ্গাপেরুমল কয়েল, চেঙ্গালপেট শহরের বিয়ের জন্য যে হলগুলি ব্যবহার করা হয় সেখানে নিয়ে যায়। এর মধ্যে পুলিশ প্রথমে বলে, ২৭ জন নেতাকে তারা জেলহাজতে রাখবে। পরে সন্ধ্যেবেলা পুলিশের সুপার ম্যাজিস্ট্রেটকে বিয়েবাড়ির হলগুলিতে নিয়ে এসে হুমকি দিতে থাকে, সবাইকে জেলে পুরে দেবে।
শেষ পর্যন্ত ১২৯ জনকে জেলে পোরা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে জমায়েত প্রভৃতি মারাত্মক সব ধারা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply