মৃন্ময় চক্রবর্তী, ২৬ আগস্ট#
বাংলাদেশের তরুণ লেখক রিপনচন্দ্র মল্লিক ভারতে এসেছিলেন মায়ের চিকিৎসার জন্য। গিয়েছিলেন ভেলোর। গত ২২ আগস্ট রাত্রে চিকিৎসা আংশিকভাবে সম্পন্ন করে দেশে ফিরে যাবার পথে দুদিনের জন্য এলেন কলকাতায়।
তিনি উঠেছিলেন বালিগঞ্জ ভারত সেবাশ্রমে। ২৫ আগস্ট বিকেলে সেখানে রূপান্তর – ছায়াপট সাহিত্য পত্রিকার পক্ষ থেকে কবি শম্ভুনাথ মন্ডল,অরুণ মাজী, রবীন ঘোষ ও মৃন্ময় চক্রবর্তী তাঁর সাথে দেখা করেন ও পুষ্পস্তবক সহযোগে সামান্য কিছু বই আর মিষ্টি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। সেভাবে কোনো আয়োজন আপ্যায়ন তাঁকে করা সম্ভব না হলেও, রিপন এই আয়োজনকে অনেক বড় করেই দেখেছেন, এ তাঁর বড় মনের পরিচয়। তিনিও তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ দেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘কাঠপরানের দ্রোহ ‘ বইটি বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে উপহার দিয়ে গেলেন ছায়াপট – রূপান্তরের বন্ধুদের।
রিপন বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মাদারিপুর সাবডিভিশনের ( বর্তমানে জেলা) মানুষ। এই জেলায় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছেন। সুনীল যখন জন্মগ্রামে যান তখন রিপন তাঁর সাথে দেখা করেন। সুনীল রিপনকে লেখার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।
প্রতিশ্রুতিমান এই লেখক পেয়েছেন সুনীল স্মৃতি পুরস্কার ও দেশ পুরস্কার। পশ্চিমবাংলার পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা এখনো প্রকাশিত হয়নি। তিনি অকপটে জানালেন তাঁর এ দেশের পত্রপত্রিকায় লেখার ইচ্ছের কথা। উপস্থিত বন্ধুরা তাঁর ইচ্ছা পূরণের জন্য সাধ্য অনুযায়ী সচেষ্ট থাকবেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন।
অসম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষে অসুস্থ মা’কে নিয়ে রিপন ২৫ আগস্ট সকালে ফিরে গেলেন।
Leave a Reply