শমীক সরকার, তথ্যসূত্র সুপর্ণা সর্দার, ঢাকুরিয়া, ৩০ মে#
ঢাকুরিয়া রেলকলোনির মানুষদের জলকষ্ট চরম আকার নিয়েছে। কর্পোরেশনের একটি মাত্র কলের ওপর শতাধিক মানুষ নির্ভরশীল। জলের জন্য লাইন দেয় মূলত মহিলারাই — বালতি ড্রাম রেখে। অনেকেই এখন রাত আড়াইটে তিনটে থেকে লাইন দিচ্ছে কলে। এমনকী কেউ যাতে পেছন থেকে এসে আগে না নিয়ে যেতে পারে, তাই দু-একজন কলধারেই ঘুমাচ্ছে। সকাল সাড়ে ছ-টায় জল আসে। তারপর থেকে শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি ঝগড়া।
এরই মধ্যে ঘন্টাখানেকের জন্য আসে খাওয়ার জল, অর্থাৎ পরিশ্রুত জল। সেই সময় অনেকেই শুধু খাওয়ার জল নিতে আসে। আবার যারা কলে লাইন দেয়, তাদেরও খাওয়ার জলের পাত্র ভর্তি হয় ওই সময়। এই নিয়েও ঝগড়া বাধে।
আগেও একটিই কল ছিল এবং তার ওপর নির্ভরশীল ছিল এত মানুষ। কিন্তু গত একমাসের মারাত্মক গরমে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে। জলের স্রোত সরু হয়ে গিয়েছে, ফলে কার্যত জল আসা কমে গিয়েছে অনেক।
বুস্টার পাম্পটি ঠিকঠাক চলছে কি না তা নিশ্চিত করতে পাড়া থেকে অনেকে গিয়েছিল এলাকার কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব-এর কাছে, ৩০ মে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পাম্প ঠিকই চলছে। আসলে জলের পরিমাণই কমে গেছে। তাই শুধু এখানে নয়, সারা কলকাতা জুড়েই জলকষ্ট চলছে। এই কথার সমর্থনও মিলছে, পাড়ার লোকদের আত্মীয় স্বজন — যারা অন্যান্য পাড়ায় থাকে, তারাও জলের স্রোত কমে গেছে বলে জানিয়েছে।
Leave a Reply