• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

এবার গোটা দেশটাই বিদেশ

October 16, 2014 admin Leave a Comment

আমাদের দেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির এক দশক অতিক্রান্ত। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু কমছে মানুষের চাকরি বা কাজ। জিডিপি-র প্রায় দুই তৃতীয়াংশই পরিষেবা ক্ষেত্রের সম্পদ, কিন্তু ওই ক্ষেত্রে দেশের মাত্র এক চতুর্থাংশ লোকের চাকরি/কাজ হয়েছে। কৃষিতে নিয়োজিত অর্ধেক মানুষ — কিন্তু জিডিপিতে তার অবদান মাত্র সতেরো শতাংশ। বাকি পড়ে থাকছে শিল্প। আরো স্পষ্ট করে বললে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প, বা উৎপাদনী শিল্প। এইটার কিন্তু কর্মসংস্থান এবং জিডিপিতে অংশীদারী প্রায় সমান সমান। তাই লোকের কাজের বন্দোবস্ত করতে হলে পড়ে থাকছে এই ক্ষেত্রটিই। নাহলে জনমানসে নিষ্কর্মা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।

পুঁজিনীতির এই ফর্মূলা মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আয়োজন করেছেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। সারা পৃথিবীর ম্যানুফ্যাকচারি কর্পোরেটদের আহ্বান করেছেন তিনি : ভারতে মাল বানান। বিদেশে বেচুন। ভারতকে শুধু পণ্যের বাজার ভাববেন না। এখানে উৎপাদন করুন। তাহলে লোকে চাকরি/কাজ পাবে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। আপনারই বাজার থাকবে, বাড়বে। ভয় নেই, ‘আপনার টাকা মার যাবে না’। দেখার দায় সরকারের।

অনেকটা এইরকম উৎসাহেই এক দশক আগে ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ‘সেজ’ বানিয়েছিল। সেখানে কর্পোরেটদের খুব মজা, কারখানা বসাতে দেশের চালু আইনকানুন না মানলেও চলে। শ্রম আইনের বালাই নেই। শ্রমিক ইউনিয়নের বালাই নেই। হাজারগণ্ডা লাইসেন্স বা অনুমতির বালাই নেই। ২০০৬ সাল থেকেই জমি অধিগ্রহণবিরোধী জনআন্দোলনগুলি সেজ-এর নামকরণ করেছিল — দেশের ভেতর বিদেশ। কয়েক বছর যেতে না যেতেই দেশজুড়ে সেজগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। রপ্তানি তলানিতে। বিদেশে পণ্যের বাজার মন্দা। লগ্নি পড়ে থাকছে। টাকা মার যাচ্ছে।

এবার তাই আর সেজ নয়। গোটা দেশেরই শ্রম আইনের দফারফা করার বন্দোবস্ত — যা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে রাজস্থানে। অনুমতি/ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করে কর্পোরেটদের পথ মসৃণ করে দেওয়া — স্বশংসাপত্র। গোটা দেশেই পরিবেশ ছাড়পত্রের ঢালাও বন্দোবস্ত। কর্পোরেট আর সমাজের ভারসাম্য রক্ষার চিরাচরিত ভূমিকায় নয়, সরকার এবার কর্পোরেটের সহায়ক, মোদির ভাষায়, ‘ফ্যাসিলেটেটর’। টাকা মার না যাওয়ার গ্যারান্টারও বটে!

দেশের ভেতর কোনো বিশেষ অঞ্চল নয়, এবার গোটা দেশটাই বিদেশ — ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে না?

সম্পাদকীয় দেশের ভেতর বিদেশ, নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি, মেক-ইন-ইন্ডিয়া, সেজ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in