ইদ্রিস আলি মোল্লা, ষোলোবিঘা, ২১ নভেম্বর#
মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেছেন ‘এটা কেএমডিএ-র জমি, ভ্যাকান্ট ল্যান্ড, জবরদখল করে বাস করা হচ্ছে।’ ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি কমিশনের সেক্রেটারিকে চেয়ারম্যান চিঠি দিয়ে ওই একই কথা বলেছেন। আমি এটা চ্যালেঞ্জ করেছি। যেমন আমি হাইকোর্টে মামলা করেছি ২০০৪ সালে, হাইকোর্টের রায় হয়েছে ১৫।৫।২০০৬ সালে। সেই অর্ডার কার্যকরী করা হয়নি। ঠাকুরপুকুর বিএলএলআরও-কে আটমাসের মধ্যে হিয়ারিং করে এর নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছিল। তখন মামলার পার্টি করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ভূমিরাজস্ব মন্ত্রীকে। এই জমির মালিক রহমতুল্লা ওস্তাগর, কার্তিক কুমার চক্রবর্তী, নীহাররঞ্জন বসু, ইছন মোল্লা, বোধিসত্ত্ব দাস, বসন্ত কুমার রায়। ২০০০ সালের সেটেলমেন্টে রেকর্ড বলছে এরা মালিক ছিল। তখনকার ভূমি ও ভূমিরাজস্ব মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার সেক্রেটারি ২০০১ সালে একটা চিঠি দিয়েছিলেন। আমার কাছে তার কপি আছে। এই জমি মালিকদের জমি, এলআর জমি, খতিয়ান আছে, মালিকদের নামে রেকর্ড হয়েছে। এখানে তিনশো বিঘা জমি আছে। রহমতল্লা ওস্তাগর এই বাজারপাড়ার লোক। তাঁর জমি আছে ৪ একর ২৯ শতক, ১৪ বিঘা। ২/এ ল্যান্সডাউন রোডের বাসিন্দা বোধিসত্ত্ব দাসের আছে ৮৫ শতক জমি। পাহাড়পুর মৌজার মধ্যে ছিলেন নীহাররঞ্জন বসু, তাঁর ঠিকানা আমার জানা নেই।
আমরা যে এখানে এসেছি, একমাত্র এই কারণে যে এখানে ইনকাম-রোজগারের পথটা আছে। মেটিয়াবুরুজের মধ্যে আমাদের কাজ মিলে যাওয়ার স্থায়িত্ব আছে। সে ছেলে হোক, মেয়ে হোক, স্ত্রী হোক, সাবালিকা-নাবালিকা কন্যাদের পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ইনকাম-রোজগার করে খাওয়ার সুযোগ আছে। শুধু দর্জির কাজ নয়, কেউ ঝিগিরি করে, কেউ বাড়ির কাজ করে, কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ প্যারিসমিস্ত্রি, কেউ রাজমিস্ত্রি-প্যারিসমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ, কেউ কুয়ার বেড় খোলে, কেউ রিকশা বা ভ্যান টানে। এটা দেশগ্রামে হয় না।
১৯।১১।২০১২ জিনজিরা আইসি-র কাছে ডায়েরি করার তিন-চারদিন আগে পুলিশ দাঁড় করিয়ে নাগরিক রক্ষা কমিটির ঘর জোর করে ভেঙে দিয়েছে। ৯।১১।২০১২ এসপি-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এত কিছু বলার পরেও প্রশাসন কোনো ভূমিকাই নেয়নি। বস্তির মধ্যে ঢুকে রাতেরবেলায় মদ্যপ অবস্থায় আমাদের মা-বোনেদের হেনস্থা করা হয়েছে। রাতের নাইটগার্ডদের ওপর জুলুম হতে থাকে। প্রশাসনকে দুষ্কৃতিদের নাম দেওয়া হয়েছে। রফিক মোল্লা, নিতাই হালদার, তাহের আলি নস্কর, হাসা মোল্লা, শাহাদাত মোল্লা, আখতার মোল্লা।
এই আগুন লাগানো হয়েছে। ওরা খোলাখুলি হুমকি দিয়ে বলছে, খুন করব, মেরে ফেলে দেব, এলাকা ছেড়ে চলে যাও। … ষোলোবিঘার কোনো চিঠি গেলে চেয়ারম্যান রিসিভ করেন না, কোনো ডায়েরি করলে থানায় নেয় না।
Leave a Reply