শেখ আক্কাস আলি, পদিরহাটি, ২৭ নভেম্বর#
আমরা সাত খানদান এখানে আছি। আমি ঢাকায় গেলাম। ওখানে বিয়ে করলাম, সিক্সটি-ফাইভের ওয়ার দেখলাম, দেশ স্বাধীন করলাম, তবে এলাম। ১৯৭৭ সালে ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। তখন এই ষোলোবিঘা বস্তিটা ছিল না। সব জলা ছিল। ধান চাষ হত। ছোটো ছোটো ডোবা করে গাছ-টাছ রোয়া হত। স্থানীয় লোকেদের জমি ছিল। ১৯৮৪-র পর থেকে কিছু কিছু ঢুকল। আশপাশে যারা থাকত তারা প্রথমে গেল। কিছু হিন্দু ছিল প্রথমে। তারপর ওই কাশী ব্যানার্জি আর বাচ্চু ব্যানার্জি কোত্থেকে সব ঢুকিয়ে এনে বসালো। তখন আর একবার ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনি, বাচ্চু মারা গেছে। একটা কথা বলি, ওখানে লোকের আই কার্ড, ভোটার আর রেশন কার্ড ডাবল-ডাবল ট্রিপল-ট্রিপল আছে। গোসাবা, ক্যানিং, বাসন্তী, মাতলার লোক ওখানে কলোনি বানিয়েছে। অত অবৈধ লোক ওখানে কী করে থাকে? গ্যাস সিলিন্ডার ঢোকে কী করে? জীবিকার জন্য মুষ্টিমেয় লোক থাকে। তাদের কথা বলতে দেয় না। তাদের কেউ পাত্তা দিচ্ছে না, দেবেও না। আজ আগুন লেগেছে। এর শেষ এখন নেই, আরও অনেক বাকি। সেন্ট্রাল পলিসি যতক্ষণ ভালো না হয়, ততক্ষণ ভালো হওয়ার উপায় নেই। আমাদের এখানে লোকাল লোক যত আছে, তার থেকে বেশি লোক আছে ষোলোবিঘায়।
Leave a Reply