• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

একজন পরার্থপর মানুষ অশোক সেকসেরিয়া চলে গেলেন

December 6, 2014 admin Leave a Comment

তমাল ভৌমিক, কলকাতা, ৩০ নভেম্বর#

ashoke

২৯ নভেম্বর ২০১৪ রাতে অশোক সেকসেরিয়া মারা গেলেন জিডি হাসপাতালে। কয়েকদিন আগে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে ফিমার বোন ভেঙ্গে গিয়েছিল তাঁর। দিন তিনেক আগে ফিমার বোন অপারেশন করা হয় জিডি হাসপাতালে। তারপর পরপর দুটো স্ট্রোক হয়, যার ধাক্কা আর সামলাতে পারেননি আশি বছর বয়স্ক এই সমাজকর্মী ও সাহিত্যসেবী।
১৯৩৪ সালে তাঁর জন্ম। এই শেষ বয়সে এসেও উনি ‘সাময়িক বার্তা’ নামক পত্রিকার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। তাঁর বন্ধু সুনীলের মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত এই উল্লেখযোগ্য হিন্দি পত্রিকার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রায় চলৎশক্তিহীন হয়ে দীর্ঘ দিন কাটাচ্ছিলেন অশোকজী শারীরিক নানা অসুস্থতার কারণেই। তার মধ্যেই যতটুকু পারেন কাজ চালিয়ে যেতেন। অল্প কিছুদিন আগেই ফোনে যাদবপুরের ‘হোক কলরব’ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন, যাদবপুরের ছাত্রী, আমার মেয়ের কাছে ওই আন্দোলন সম্বন্ধে তাঁর কাগজে সংবাদ ছাপানোর উদ্দেশ্যে।
আমাদের সংবাদমন্থনের তিনি নিয়মিত পাঠক ছিলেন। মাঝেমধ্যে খবরও পাঠিয়েছেন — সাময়িক বার্তার সুনীলকুমারের প্রয়াণের পরে তাঁর সম্পর্কে শোকবার্তা লিখে পাঠিয়েছিলেন এই বছরেই। তার আগে ভারতীয় ভাষা সাহিত্য পরিষদে কর্মচারী আন্দোলনেরও রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন অশোকজী। হিন্দি ও বাংলা দুটো ভাষাতেই তিনি বলতে পারতেন ভালো। বাংলাটা লিখতেও পারতেন, তবে হিন্দির মতো ততটা ভালো নয়।
অনেক হিন্দি ও বাংলা সাহিত্যিক তাঁর বাড়িতে যেতেন ভারতীয় ভাষা সাহিত্য পরিষদের সুবাদে। সমাজকর্মী হিসেবে গান্ধীবাদী ও বামপন্থী উভয়পক্ষের অনেক কর্মী-সংগঠকেরও যোগাযোগ ছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি অবশ্য এসব গল্প বা নিজের গল্প কখনো বলতেন না, পাছে আত্মপ্রচার হয়ে যায়। খুবই সাধারণভাবে থাকতেন অভিজাত ঘরের এই মাড়োয়ারি সন্তান। তাঁর ঘরে থাকত একটা ছোটো খাট, একটা চেয়ার একটা ল্যান্ডফোন আর দেওয়ালের র‍্যাকে ও ঘরের মেঝেতে রাখা নানা বইপত্র। তার ঘরের পাশের ঘরে তাঁরই আশ্রয়ে এক মহিলা স্বামীপুত্র নিয়ে তাঁর মেয়ের মতো থাকতেন ও অশোকজীকে দেখভাল করতেন। এই মহিলাকে লেখাপড়া শিখিয়ে এই মহিলারই আত্মজীবনী লিখিয়েছিলেন তিনি। এরকম আরও অনেক কথা জানা যায় তাঁর সম্পর্কে যার থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।
তাঁর সঙ্গে একদম এই শেষের দিকে যোগাযোগ রাখতে পারিনি নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে। ফিমার বোন ভাঙ্গার ঠিক আগেই ফোনে কথা হয়েছিল শিগগিরি লর্ড সিনহা রোডে তাঁর বাড়িতে একদিন যাব বলে। কিন্তু তার আগেই তিনি চলে গেলেন। মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে। এমনও একটা ভালোমানুষ যার সঙ্গে দুদণ্ড কথা বললেও প্রাণটা ঠান্ডা হত। যারা ওঁর কাছাকাছি গেছে তারা জানে মানুষটা সবসময় নিজের কথা ভুলে অন্যের কথা ভাবতেন।

স্মরণ অশোক সেকসেরিয়া, গান্ধীবাদী, মাড়োয়ারী সমাজকর্মী, সমাজকর্মী

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in