শমীক সরকার, কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর#
সেপ্টেম্বর মাস থেকে মোবাইল বিকিরণের নয়া বিধি চালু করেছে কেন্দ্র। এই নয়া গাইডলাইন অনুসারে মোবাইল বিকিরণের নিরাপদ সীমা কমানো হল, আইসিএনআইআরপি প্রণীত এবং এতদিন ধরে ভারতে স্বীকৃত সীমার এক দশমাংশ করা হল। অর্থাৎ এতদিন তা ছিল ৯.২ ওয়াট প্রতি বর্গমিটারে। এখন তা হবে ০.৯২ ওয়াট প্রতি বর্গমিটারে। উল্লেখ্য, আগের সীমাটি কেবলমাত্র মোবাইল বিকিরণের তাপীয় ফলকে বিবেচনায় নিয়েই করা হয়েছিল, এর অ-তাপীয় কোষগত ফলকে বিবেচনায় আনা হয়নি বলে সমালোচনা করছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং সমাজকর্মীরা।
পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণের শংসাপত্র দিতে আগেই বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই শংসাপত্র বিচার করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলো ‘টেলিকম এনফোর্সমেন্ট রিসোর্স এন্ড মনিটরিং সেল’ বা সংক্ষেপে টিইআরএম-কে। যারা অভিযুক্ত সমস্ত টাওয়ার এবং অন্যান্য আরও দশ শতাংশ টাওয়ারের বিকিরণমাত্রা নিজেরা তদন্ত করবে এবং তা কোম্পানির দেওয়া স্ব-শংসাপত্রর সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। যদি না মেলে তাহলে টাওয়ার প্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে কোম্পানির।
এছাড়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিকিরণের বিধির ব্যাপারেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন : মোবাইল হ্যান্ডসেটের এসএআর ২ ওয়াট/কেজি (দশ গ্রাম মানব শরীরের কোষ বিবেচনায় এনে) ছিল। তা কমিয়ে করা হয়েছে ১.৬ ওয়াট/কেজি (এক গ্রাম মানব শরীরের কোষ বিবেচনায় এনে)। চালু মোবাইল সেটগুলির ব্যবহার করা যাবে আগামী একবছর। কিন্তু নতুন তৈরি করা সেটগুলির এসএআর নতুন সীমায় রাখতে হবে। এই এসএআর সীমা হ্যান্ডসেট-এ লেখা থাকতে হবে এবং বিক্রির সময় ক্রেতাকে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, এর ফলে হ্যান্ডসেটের বিকিরণমাত্রার সীমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমান করা হল। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, হ্যান্ডসেটের সঙ্গে দেওয়া পুস্তিকাতে হ্যান্ডসেট সম্পর্কিত সতর্কীকরণ লেখা থাকতে হবে। সমস্ত হ্যান্ডসেটের সঙ্গে কানে মোবাইল না লাগিয়ে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় ইয়ারফোনের বন্দোবস্ত থাকতে হবে।
এই নয়া বিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার মোবাইল বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষা করার পদ্ধতিরও পরিবর্তন করেছে।
Leave a Reply