মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন, ধুবুলিয়া, ২৪ অক্টোবর#
কৃষ্ণনগর থেকে আট কিমি দূরে ধুবুলিয়া থানার আশাডাঙায় ১২ বছরের স্কুল ছাত্র রুহুল আমিন শেখের (পিতা সইদুল শেখ) মাথা ও দেহ আলাদা দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ২১ অক্টোবর পুজো দেখতে বেরিয়েছিল রুহুল, রাত পেরিয়ে সকালে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাত্রিতে নিখোঁজ ২২ অক্টোবর সকালবেলায় গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় আমবাগানে।
২৪ অক্টোবর এআইইউডিএফ-এর সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি, রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ, পিপলস ফ্রন্ট ফর জাস্টিস-এর মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থলে যান। সঙ্গী ছিলেন এই প্রতিবেদক। রুহুলের দিদিমা জরুন বিবি ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে বলেন, আমার নাতিকে বলি দেওয়া হয়েছে। এসপি বলেন, পারিবারিক বিবাদে রুহুল আমিন খুন হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ধুবুলিয়া থানার ওসি বলেন, রুহুল আমিন এমন কিছু দেখে ফেলেছিল, তাকে খুন হতে হয়েছে।
পরে প্রতিনিধিদলটি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত, দোষীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা মুর্শিদাবাদে
বিজয়া দশমীর ভিড়ে ধাক্কাধাক্কির পর রেজিনগর থানার ধিকরা গ্রামের কিশোর শাহরুখ শেখ (১২)-কে নওদা থানার সরবঙ্গপুর গ্রামে পুজো কমিটির লোকজন নেতাজি সঙ্ঘ নামে একটি ক্লাবে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাত্রেই কিশোরটি মারা যায়। এতে নদিয়া মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা-রেজিনগর থানার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জন গ্রেফতার হয়, র্যাফ নামানো হয়।
উৎসবের মরশুমে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই কিশোরের নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা করেছে এআইইউডিএফ, জমিয়তে উলেমা হিন্দ, এসডিপিআই, পিপলস ফ্রন্ট ফর জাস্টিস প্রভৃতি সংগঠনগুলি।
Leave a Reply