অলোক দত্ত, শান্তিপুর, ৬ মার্চ#
ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্ম-পাষণ্ডরা মানবধর্মকে উল্লঙ্ঘন করেছে, নিজের ধর্মকে কলুষিত করেছে বাংলাদেশে। আর তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগের আন্দোলনের কথা বিশ্ব জেনেছে। সমর্থনও করছে নতুন প্রজন্মের এই তীব্র দাবিকে। আওয়াজ উঠছে, ধর্ম-পাষণ্ডরা নিপাত যাক।
এই বিষয় নিয়ে ৬ মার্চ সন্ধ্যে ছটায় শান্তিপুরের কাশ্যপপাড়ায় বন্ধুসভা হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শান্তিপুর রঙ্গপীঠ।
অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা মঞ্চ হয়নি। বাংলাদেশের একুশের স্মারকস্তম্ভটির একটি প্রতিকৃতি রাখা হয়েছিল বক্তার পেছনদিকে। ঘোষিত মূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের নাট্যকর্মী স্বপন গুহ। হলভর্তি শ্রোতা, বসার আসন ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে শুনছে অনেকে। যেহেতু নাট্যদলের আয়োজিত অনুষ্ঠান, গান কবিতায় জমজমাট। বিশ্বজিৎ বিশ্বাস সম্প্রতি উত্তাল বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন সপরিবারে। তাঁর চাক্ষুষ অভিজ্ঞতার কথা বললেন, যা অনুষ্ঠানের মুখবন্ধ হিসেবে কাজ করল। মূল বক্তা স্বপন গুহ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, বিশ্বের গতিপ্রকৃতি, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শাহবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও নানা ধর্মীয় সংগঠনের বিভিন্ন কার্যকলাপের কথা বললেন। একাত্তরের যুদ্ধে ধর্ম-পাষণ্ডদের কুকীর্তির কথাও বললেন। আন্দোলনের চিত্রটির প্রেক্ষাপট আরও সুস্পষ্টভাবে পরিস্ফুট হয়ে উঠল যখন পর্দায় তথ্যচিত্রটি দেখানো শুরু হল। অনেকে শিউরে উঠলেন, এটাকে কী মৃত্যুমিছিল বলব! সার বেঁধে পড়ে আছে, জলে ভাসছে মানুষের মৃতদেহ।
অজস্র সাক্ষ্যপ্রমাণ সহ গবেষণাভিত্তিক তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন শঙ্কর আদিল খাঁ। সাক্ষীরা কেউ শহিদের বাবা, কেউ মা, কারোর ভাই বোন আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশী। তাদের চোখের জল এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে দর্শকের হৃদয়। চিনিয়ে দিচ্ছে বিশ্বাসঘাতকদের স্বরূপ, ধর্মের ধ্বজাধারী রক্তলোলুপতাকে।
Leave a Reply