সোমনাথ চৌধুরি, কোচবিহার, ১৯ জুন#
উত্তরাঞ্চল সহ উত্তর ভারতে প্রবল বর্ষণে নিহতের সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়েছে। সরকার জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডে অন্তত ২১টি সেতু ভেঙে পড়েছে। বহু গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ২০০ গাড়ি, দুটি বুলডোজার এবং একটি হেলিকপ্টার ভেসে গিয়েছে।
উত্তরাঞ্চলে প্রথম বর্ষার প্রবল বর্ষণে অন্তত ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে সাথে জলবন্দী অবস্থায় আছেন কমপক্ষে হাজার মানুষ। এ যাবতকালের মধ্যে উত্তরঞ্চলে এটাই বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতির সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ। উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতের স্বাভাবিক বর্ষণমাত্রার প্রায় দ্বিগুনমাত্রার তোরে ভেসে গিয়েছে বড় বড় মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং।অন্তত ১৭৫ তী বসত বাড়ি জলের তোরে ভেসে গিয়েছে এই মৃত ৭৩ জনের মধ্যে আছেন একই পরিবারের ৪ জন, মাটি ধ্বসে গিয়ে তারা জলে তলিয়ে যান। ন্যাশানাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথারিটির মতে এই আটকে পড়া মানুষের মধ্যে ৭১,৪৪০ জন তীর্থযাত্রী।
যদিও ত্রানের কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে, তবুও মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি , হরকাবান ও ধ্বস এ সম্পূর্ণ উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশের কিছু জায়গায় এখন শুধু ধ্বংশের ছবি। তবে এর মধ্যে যেটা ভালো খবর গঙ্গা নদীর জলের উচ্চতা অনেকটাই কমে গিয়েছ,যার ফলে ত্রাণকার্য্য চালানো অনেক সহজ হচ্ছে। কেদার –বদ্রী, গঙ্গোত্রী-যমুনত্রী এই চার ধাম তীর্থযাত্রীদের আপাতত উত্তরকাশীর রুদ্রপ্রয়াগ ও চম্বোলী শহরে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছহে, আর যাত্রাপথের ভয়ানক ক্ষতির কারনে, এই চার ধাম যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ন্যাশানাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথারিটির দেওয়া তথ্যে জানা যায় এদের মধ্যে চামোলিতে ২৭০৪০, রুদ্রপ্রয়াগে ২৫০০০ আর উত্তরকাশীতে আছেন ৯৮৫০ জন। হিমাচল প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী শ্রীবীরভদ্র সিং আদিবাসি অধ্যুষিত কুন্নুর জেলায় প্রায় ৬০ ঘন্টা আটকে ছিলেন, পরে হেলিকপ্টার এ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়া আসা হয়।
যমুনা নদীর জলের স্তর বেলা ১টা নাগাদ বিপদসীমা ২০৪.৮৩ মিটার ছাড়িয়ে ২.৩০ নাগাদ ২০৫.২৪ মিটারে পৌঁছালে নিম্ন উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষদের ওখান থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
পাভেল says
হিন্দুরা বলেন , এই অঞ্চলটি হল দেবস্থান , সেই সর্বশক্তিমানেরা এতগুলো ভক্তকে বিপদে ফেলে কেটে পড়লেন ?
আসলে তারা কোনদিনই ছিলেন না।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যেই ঐ দূর্গম অঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে ।
আসুন , ঈশ্বরমুক্ত পৃ্থিবী গড়ি।