সন্দীপ পাণ্ডের বিজ্ঞপ্তি থেকে, ২৫ এপ্রিল#
একটি ছোট্ট দল সোস্যালিস্ট পার্টি (ইণ্ডিয়া) থেকে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-তে দাঁড়িয়েছেন অনিল মিশ্র। ১২ এপ্রিল ২০১৪ তে তিনি উন্নাও জেলার নির্বাচনী অফিসারের কাছে ২৩ এপ্রিল একটি শ’খানেক মানুষের সাইকেল মিছিল করার করার জন্য অনুমতি চান। এই মিছিল তাঁর গ্রাম খান পীর আলি নেভাদা থেকে অরা শহর পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। ৩০ এপ্রিল তাঁর কেন্দ্রে ভোট। সহকারী রিটার্নিং অফিসার বলেছিলেন, তার কোনো আপত্তি নেই মেগাফোন সহ এই র্যালিতে।
অনিল মিশ্রকে প্রথমে বলা হয়, র্যালি যে দুটি থানা এলাকা দিয়ে যাবে, সেই দুই থানার রিপোর্ট আনতে। তাঁকে বলা হয় দশ জন করে সাইক্লিস্ট ২০০ মিটারের ফারাক রেখে যেতে পারবেন। এটা যদি করতে হয়, তাহলে আর তা মিছিলের আকার পায় না, মিছিল করার মানে হয় না। দেখলে মনে হবে, কিছু সাইকেল চালকের দল খাপছাড়া ভাবে যাচ্ছে। একশ’ জন মিলে একসাথে সাইকেল চালালে যেমন লাগে, তা লাগবে না। তাই এই প্রচারে কোনো লাভ হবে না। প্রসঙ্গত, বাইসাইকেলের জন্য যে নিয়ম দেখানো হয়, তা আসলে যন্ত্রচালিত যানের জন্য বলবৎ হয়েছে।
১৫ এপ্রিল আসে একটি মারাত্মক সিদ্ধান্ত। অনুমতি দেওয়ার জন্য যে অফিসার রয়েছেন, তিনি জানান, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট-এর ঘোষণা অনুযায়ী বাইসাইকেল র্যালি করা যাবে না, কারণ মিছিলে সেই সব যানবাহনই ব্যবহার করা যাবে, যেগুলির জন্য অনুমতি বা নিবন্ধীকরণ করা আছে।
এর মানে দাঁড়ায়, নির্বাচনী প্রচারে সাইকেল ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের কি মনে আছে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব গত বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্য ঘুরেছিলেন সাইকেল নিয়ে? লখনৌ-এর আম আদমি পার্টির প্রার্থী ঘোড়া টানা গাড়ি করে মিছিল করেছেন? এখন, ঘোড়া টানা গাড়িও তো নিবন্ধীকৃত যান নয়। তাহলে কি বড়ো বড়ো পার্টিরা যা খুশি করতে পারে কিন্তু যত নিয়ম ছোটো ছোটো এবং স্বাধীন প্রার্থীদের জন্য? এছাড়াও এই আদেশ হাস্যকর, কারণ এর মানে দাঁড়ায় প্রার্থীরা যন্ত্রচালিত যান, এমনকি হেলিকপ্টার অবধি ব্যবহার করতে পারে প্রচারের জন্য, কিন্তু সাইকেল নয়।
Leave a Reply