২৬ নভেম্বর, জেড ব্রুকস, নর্থ ক্যারোলিনা, আমেরিকা, অনুবাদ জিতেন নন্দ#
প্রায় এক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা-তে ইহুদিদের শান্তিকামী গোষ্ঠী ‘জিউইশ ভয়েজ ফর পিস’ ছাত্র, সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে সক্রিয় সংগঠন ও শান্তিবাদী কর্মীদের নিয়ে স্থির করেছিল যে জিফোরএস (G4S) নামক সিকিউরিটি সংস্থাকে বয়কট করবে। ২০১২ সালে প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক বন্দিরা এই বয়কটের আহ্বান রেখেছিল। আমরা যখন নর্থ ক্যারোলিনার কমিশনারদের কাছে জিফোরএস-এর সঙ্গে কনট্রাক্ট ছিন্ন করতে বলে প্রথম একটা চিঠি লিখলাম, আমরা জানতাম না ওরা কীরকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমরা এটাও জানতাম না প্যালেস্টাইন-বিরোধী শক্তি আমাদের ওপর হামলা চালাবে কিনা। আমরা একটাই কথা জানতাম যে আমাদের প্যালেস্টাইনিদের এই বয়কট আহ্বানে আমাদের নিজেদের সমাজের মধ্যে কিছু করা দরকার।
আমাদের জোটের মধ্যে আহমাদ জিতান ব্যক্তিগতভাবে আমাদের জিফোরএস-এর ভূমিকা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করেছিল। ইজরায়েলে প্যালেস্টাইনিদের ওপর দখলদারী চালাতে সাহায্য করা এবং মিলিটারি চেকপয়েন্টগুলোতে ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ করে জিফোরএস। আহমাদ বলেছিলেন, ‘আমি যখন আমার পরিবারের সঙ্গে প্যালেস্টাইনে দেখা করতে গিয়েছিলাম, চেকপয়েন্টগুলোতে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করতাম। মনে হত একটা বিপদ হবে। আমি কিছু করেছি বলে বিপদ হবে এমনটা নয়, আমি একজন প্যালেস্টাইনি, তাই আমি বিপদে পড়তে পারি। কারণ আমার নাম আহমাদ এবং আমি একজন মুসলমান। ডারহাম একটা নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করুক এবং জিফোরএস-এর সঙ্গে কনট্রাক্ট বাতিল করুক, কারণ ইজরায়েলের এই ব্যবস্থাটার সঙ্গে জিফোরএস যুক্ত।’
আমাদের সমাজে জিফোরএস কী ভূমিকা নেয় সে বিষয়ে কাউন্টি ডকুমেন্টগুলো পড়ে, আফ্রিকান আমেরিকান সমাজের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং যারা এই ধরনের মুনাফাখোর সিকিউরিটি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমিও প্রশ্ন করতে শুরু করি — আমাদের লাইব্রেরিগুলোতে এইসব প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ড কী জন্য দরকার? আমাদের সমাজের কোনো মাপজোক এইসব গার্ডদের জানা নেই। ওরা বন্দুক নিয়ে ঘোরে আর লোককে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেখায়। এতে আমাদের সমাজ অন্যদের কাছে আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। আমরা জানতে পারলাম যে লোকে ফুড স্টাম্পসের দরখাস্ত করতে এসে লাইনে একটু বেশি চেঁচামেচি করায় জিফোরএস গার্ডেরা তেড়ে গেছে আর আমাদের ইহুদি সমাজের একজন সদস্যের গায়ে হাত দিয়েছে।
সোমবার রাতে যখন ডারহাম মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনাররা আমাদের আবেদনের পক্ষে ভোট দিলেন, ফার্গুসন থেকে সেই খবরটা পেয়েই আমরা বুঝতে পারলাম, সামনে আমাদের জয়ের দিন আসছে। মস্ত দেওয়ালটার গায়ে একটা ছ্যাঁদা আমরা করতে পেরেছি। একদিন শোষণ আর পীড়নের এই গোটা ব্যবস্থাটা ভেঙে পড়বে।
Leave a Reply