ুহাম্মদ হেলালউদ্দিন, কলকাতা, ৩০ জুলাই
আসামে জাতিদাঙ্গা বন্ধের দাবিতে মিছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আসাম রাজ্যের কোকরাঝাড়, চিরাং, ধুবড়ি, বঙ্গাইগাঁও সহ কয়েকটি জেলায় বোড়ো উগ্রপন্থীরা অত্যাধুনিক অস্ত্রের মাধ্যমে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে এবং গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে চলেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে, নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে পঞ্চাশের মতো, আর বেসরকারি মতে কয়েকশ’। এই বর্বরোচিত জাতি নির্মূলীকরণ সূচক আক্রমণের বিরুদ্ধে এবং বিতাড়িত, উৎখাত হওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের নিরাপত্তা, ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ, এবং পুনর্বাসনের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ণ্ণফোরাম ফর পিস এন্ড হারমোনি’-র উদ্যোগে ২৭ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২টায় কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসা (হাজি মহম্মদ মহসিন ) এর সামনে থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এক মৌন মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধর্মতলার ওয়াই ক্রসিং-এ মিছিল পৌঁছনোর পর পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফোরামের আহ্বায়ক আইনজীবি আনিসুর রহমান সহ প্রতিটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এরপর এক প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ফোরামের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া-র রাজ্য সভাপতি তাহেদুল ইসমাল, ণ্ণনয়া জমানা’র আবদুর রশিদ মোল্লা প্রমুখ, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, কম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, বাংলার মুক্তিমঞ্চ, মুসলিম সংরক্ষণ মোর্চা। বন্দীমুক্তি কমিটির ছোটন দাস, সারা বাংলা সংখ্যালঘু কাউন্সিলের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সারা বাংলা মুসলিম থিংক ট্যাঙ্কের শাহ আলম প্রমুখ মিছিলে পা মেলান।
রাজ্যপালকে স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়,
১) যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও বেশি হস্তক্ষেপ এবং আরও বেশি সেনা মোতায়েন, ২) উৎখাত ও বিতাড়িত হওয়া মানুষদের সকলের পূর্ণ নিরাপত্তা ও পর্যাপ্ত ত্রাণ, ৩) সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বোড়োদের চিহ্নিতকরণ ও দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, ৪) সন্ত্রাসী বোড়োদের আক্রমণে নিহতদের পরিবারপিছু এককালীন দশ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের দুই লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ, ৫) গৃহহারা পরিবারকে যথাস্থানে যত শীঘ্র সম্ভব পুনর্বাসন।
৩০ জুলাই মিল্লি ইত্তেহার জামাতি ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠন এসআইও আসামে অবিলম্বে জাতিদাঙ্গা বন্ধের দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস অফিস ও আসাম ভবনে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে একটি স্মারকলিপি দেয়। ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে আসামে দাঙ্গা বন্ধ করতে হবে এবং দাঙ্গা বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। প্রদেশ সভাপতি বিক্ষোভকারীদের বলেন, আপনাদের দাবি যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিক্ষোভকারীদের মিছিল আসাম ভবন এবং রাজভবন যায় এবং স্মারকলিপি দেয়।
Leave a Reply