আলুর পর লবণ। আকাশছোঁয়া দামের নিরিখে শুধু এগুলো কেন, বাকি থাকছে না পেঁয়াজ থেকে কপি, বেগুন থেকে মিষ্টিকুমড়ো। যে কোনো মাছ। চাল থেকে ডিম। প্রায় সমস্ত নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের দাম, বেশি তো ছিলই, গত অক্টোবর মাস থেকেই বাড়তে বাড়তে এগুলো সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাজারে গিয়ে দেখতে পাই, সাধারণ বাজারে ক্রেতা কমছে, কেনা জিনিসের পরিমাণ কমছে।
বিক্রেতাও কমছে। বেশ কিছুদিন হল দেখছি ঢাকুরিয়া বাজারে অনেকগুলো বিক্রেতার জায়গা খালি পড়ে থাকছে। রবিবার দিন, যেদিন প্রচুর ক্রেতা আসে, হয়তো সেদিন সেগুলো ভর্তি হয়। একজন বয়স্কা সবজি বিক্রেতা ‘লাল শাক’ রাখতেন আগে। এখন রাখছেন না দেখে জিজ্ঞেস করলাম, বললেন, ও বাবা, পাইকারি তিনশো টাকা পাল্লা! শুধু ক্রেতার অভাব নয়, ছোটো ছোটো খুচরো ব্যবসায়ীর পকেটেও টান পড়েছে এই অগ্নিমূল্যের বাজারে।
তবে আলু আর লবণের দাম বাড়ার কারণ ফাটকা। বাকিগুলোর জন্য নাকি ফাটকা দায়ী নয়, ‘পরিস্থিতি’ দায়ী। পরিস্থিতি মানে অতিবৃষ্টি থেকে ডিজেলের বর্ধিত দাম — সব কিছুই তার মধ্যে পড়ে। তাই আলু লবণে মিডিয়া, পার্টি, সরকার, প্রশাসন সক্রিয় হলেও বাকিগুলোতে নয়!
Leave a Reply