মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন, জানবাজার, ১৫ নভেম্বর#
রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলি, প্রাদেশিক কৃষক সভা প্রভৃতি জানিয়ে দিয়েছে, আলু নিয়ে ফাটকা চলছে রাজ্যে, সরকারের মদতেই। আলুর সংকট কিছু নেই। সরকার যখন আলুর দাম বেঁধে দিল, তখন আলুর দর ছিল আট টাকা। সেই বেঁধে দেওয়া আলুর দরে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছিল। আলুর দাম চড়িয়ে রাতারাতি সরকার আলুর দাম বেঁধে দিল তেরো টাকা। রাজ্যের তৈরি করা এই সংকটে আলুচাষি খুচরো আলু বিক্রেতা বা সাধারণ ক্রেতা কেউ উপকৃত নয়, বরং আক্রান্ত। কৃত্রিম আলু সংকটে লাভ হচ্ছে ফাটকাবাজদের। পকেট ভরতি হচ্ছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনের এক অংশের।
এই সপ্তাহে ধর্মতলার কাছেই জানবাজারে চল্লিশটাকা দরেও আলু বিক্রি হয়েছে। পনেরোই নভেম্বর আলু বিক্রি হয়েছে জানবাজারে ২০ টাকা কেজি। কেসটা কী জানতে সিঙ্গুরের বড়ো চাষি মহাদেব দাসের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আলু ওঠার সময় চাষি আলু সাড়ে চার টাকা দরে বেচতে বাধ্য হয়েছিল। আলু উৎপাদন খরচই পড়ে যায় সাড়ে ছটাকা। বর্তমান আলু স্বাভাবিক দামেই খুচরো বিক্রি হচ্ছে। ফাটকা নয়। আলু স্টোরে যা আছে, তাতে টান পড়বে। অতিবৃষ্টির জন্য আলু চাষে প্রায় একমাস দেরি হয়ে গেল। বাজারে নতুন আলু আসতে দেরি হবে। তবে আপনাদের জানবাজারে জ্যোতি আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলছে, এটি ফাটকাই বট্রে। এখানে (সিঙ্গুরে) সরকারি দরে আলু বিক্রি হয় না। রেশনে আলু দেওয়ার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু এখনও তা আসেনি। এখানে খুচরো আলু পনেরো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে আলু নিয়ে তেমন ফাটকা হয়নি। সেখানে খোলাবাজারে আলু পনেরো টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।
এবছর আলুর উৎপাদন উদ্বৃত্ত হারেই হয়েছিল। নব্বই লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল, যেখানে রাজ্যে চাহিদা ষাট লক্ষ টন। সবার আগে প্রশ্ন উঠছে, জোগানের চেয়ে চাহিদা বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। অথচ উৎপাদন বেশি হওয়ার পরও বাড়াটা কি ফাটকা নয়?
Leave a Reply