প্রশান্ত রায়, কোচবিহার, ১৪ ডিসেম্বর#
প্রাকৃতিক বিপর্যয় আলুর ধসা সহ নানারকম রোগ ও পোকার আক্রমণে চাষিরা ফসল পাচ্ছে না। অন্য দিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের অভাবে নিম্নমানের বীজ সার কীটনাশক ইত্যাদি প্রচুর দাম দিয়ে কিনে লাভজনক ফসল না পেয়ে কৃষিজীবীরা দিশাহারা। এমনকি গত মরশুমে পাট ও আলু চাষিরা ফসল জলের দরে বিক্রি করে। তারপর আলুচাষের বর্তমান মরশুমে ভয়ানক আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন চাষিরা। এরকম অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই।
কোনো কোনো ব্যাঙ্ককর্তা ও তাদের দালালরা মিলে আপ টু ডেট এর নামে হাজার হাজার টাকা কমিশন নিয়ে গরীব চাষিদের আরো ঋণে জর্জরিত করছে। আলু চাষিদের প্রত্যাশা ছিল, ক্রোপ কাটিং অনুযায়ী বীমার অর্থ দ্রুতই হাতে পাবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ন্যাশনাল এগ্রিকালচার ইনসিওরেন্স কোম্পানি কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কোচবিহার জেলার চাষিদের স্বার্থে ও কোচবিহার জেলার আলু পাট ধান চাষি সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে শান্তুপূর্ণ গণ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
২৯ অক্টোবর জেলাশাসক অফিসে ডেপুটেশন জমা করে তারা। তাদের দাবি ছিল, ১) যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ধসায় ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের বীমার অর্থ হাতে দিতে হবে। ২) ক্ষতিগ্রস্ত ঋণী চাষিদের সমস্ত কৃষিঋণ মুকুব ৩) বর্তমান কৃষি মরশুমে বিনা পয়সায় বীজ সার কীটনাশক ইত্যাদি সরবরাহ ৪) কেসিসি ঋণগ্রহণ ও পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্তাদের মদতপুষ্ট দালালচক্রের দৌরাত্ম, কমিশন প্রথা, বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বীমাকরণ ইত্যাদি বন্ধ ৫) সমস্ত রকম গবাদি পশু পাচার ও মাদক দ্রব্য চাষ আবাদ রোধ ইত্যাদি
Leave a Reply