৭ এপ্রিল, জাকির হোসেন, বড়দিগরুই, পরশুড়া, মেদিনীপুর#
তিন বিঘা জমিতে (৩৩ শতকে বিঘা) আলুর চাষ করেছি। এক বিঘা নিজের জমি। ২ বিঘা জমি পরের কাছ থেকে ভাগে নিয়েছি। জমির মালিককে মোট আলুর চারভাগের একভাগ দিতে হবে। সে কোনো খরচপাতি দেবে না। শ্রম ও শ্রমিক — সব খরচই আমার। এবারে বিঘায় খরচ হয়েছে ১৬,০০০ টাকা। এক বিঘায় ৭০ প্যাকেট (৫০ কেজি) আলু পেয়েছি। মার্চের শেষ সপ্তাহে ১৮০ টাকা এবং ২০০ টাকা করে প্যাকেট বিক্রি করেছি।
সরকার আমাদের এলাকায় আলু কেনেনি। সরকারের রেটও জানি না। আজ শুনলাম আলুর দাম ২৮০ টাকা/বস্তা হয়েছে। কিন্তু এখন তো আর আমাদের মতো চাষির হাতে আলু নেই। বড়ো চাষি আর মহাজনদের হাতে আলু রয়েছে। আমরা তো ধারদেনা করে চাষ করি। দেনা শোধের তাড়া থাকে। দেনার শর্তই থাকে আলু ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মহাজনের কাছে আলু বিক্রি করতে হবে। যার ফলে আলু ধরে রাখতে পারি না। এবারে আলু ভালো হয়েছে। দাম ভালো নেই। যার ফলে লোকসান হয়েছে। গা-গতরে খেটে লাভ কী হল?
Leave a Reply