• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

‘আলুর দাম যে হঠাৎ করে বেড়ে গেল, এতে চাষির কোনো লাভই নেই’

December 3, 2013 admin Leave a Comment

২০ নভেম্বর, মহাবীর ঘোষ, দোগাছিয়া, জৌগ্রাম, জামালপুর থানা, বর্ধমান জেলা#

মহাবীর ঘোষ
মহাবীর ঘোষ

আলুর দাম যে হঠাৎ করে বেড়ে গেল, এতে চাষির কোনো লাভই নেই। চাষির তো আর মাল নেই, আছে ব্যবসাদারদের। আলু তো নেই, স্টোরেও কম আছে, ১৫% থাকলেও তার মধ্যে বীজ আলু আছে কত? যা আছে তার হাফ তো বীজে লেগে যাবে, তার ওপর দেশীয় লোকের খেতে লেগে যাবে। পুজোর আগে দামটা এত কম ছিল, কী বলব আর, লোকের চোখের জলে নাকের জলে হয়েছে। লোকে দেখছে, আশ্বিন মাস পড়ে গেল, আর আমাদের আলুর দাম হবে না। আমরাই তো দিয়েছিলাম, বহু লোকই বন্ড দিয়ে দিয়েছিল। আমরা দিলাম মহাজনদের, স্টোরের মালিকদের, যে ফড়েরা কিনতে আসে, তাদের দিয়ে দিলাম। তারা কেনে, তাদের কাছে দিয়ে দিলুম। আর যদি না দিই, ধরুন আমি কথায় বলছি, চাষটা করব কী করে? কিষানদের দাম দিতে হবে আমাকে। ধরুন, সার কিনতে হবে। এই জিনিসগুলো আমি যদি ধরি, আমি পাব কোথায়? আলু (বন্ড) বিক্রি করা ছাড়া আমার আর কোনো গতি নেই। আমার নিজস্ব কথা বলছি। এবার যাদের ধরুন দুটো-চারটে ছেলে চাকরি-বাকরি করে বা বাইরে থেকে ব্যবসায় ইনকাম করে, তারা হয়তো …। আমরা ধরুন পুজোর আগে ২৩০-২৪০ টাকায় সব বিক্রি করে দিয়েছি। আস্তে আস্তে তার পর থেকেই দাম বেড়ে গেল।
স্টোরের ভাড়া দিয়ে আলু রেখে আমাদের লস হয়ে গেল। আলু মাঠ থেকে তোলা থেকে এই অবধি একই দাম থেকেছে। আমি যে তারপরও রেখে দেব, কী করে রেখে দেব? আমি যদি দশ বস্তা আলু না বিক্রি করি, আমার চলবে কী করে? আমি চাষির কথা বলছি। যাদের ধরুন অবস্থা ভালো, যারা ব্যবসা-ট্যাবসা করে, তাদের আলাদা কথা। পিওর যদি চাষি হয়, সেই চাষি ক্রমশ মরে যাচ্ছে। আর দু-বছর পরে চাষি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তারা আর চাষ করতে পারবে না।

জৌগ্রামে চাষের জমিতে খৈনি কারখানা। ২০ নভেম্বর ২০১৩। ছবি জিতেন নন্দীর তোলা
জৌগ্রামে চাষের জমিতে খৈনি কারখানা। ২০ নভেম্বর ২০১৩। ছবি জিতেন নন্দীর তোলা

জৌগ্রামে চাষিরা ২০ নভেম্বর আলু লাগানো শুরু করেনি। ফাঁকা মাঠের মাঝে এক জায়গায় দেখা গেল, চন্দ্রমুখী আলু লাগাচ্ছেন এক বৃদ্ধ চাষি মহাবীর ঘোষ (ছবি তিনের পাতায়)। যে লেবাররা তাঁর জমিতে আলু লাগাচ্ছিল, তারা বলল,  ‘১০০ দিনের কাজ বছরে দু-তিনদিন পেয়েছি। এখানে জমিতে লেবারের কাজ ফুরোলে আরও দক্ষিণের দিকে চলে যাই। ওই দেখুন, এই চাষের জমিতেই খৈনি কারখানা হয়েছে। সেখানে আমরা কাজ পাইনি। বাইরের ছেলেরা এসে কাজ করছে।’ ওপরের ছবিতে চাষের জমিতে খৈনি কারখানা। জিতেন নন্দীর তোলা।

কৃষি ও গ্রাম আলুচাষ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in