আমরির হাসপাতালের পাশের বসতিতে গিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিল্পী মৈত্র#
এখন আমরির ভেতরে কাজ চলছে। ওই বিল্ডিংটায় তো বটেই, তাছাড়া এর অন্যান্য অংশেও কাজ চলছে। আবার খুলবে, হয়তো নতুন বছরেই, এরকম একটা কথা শুনছিলাম। ওই সময় যারা ধরা পড়েছিলেন তাঁরা তো বেল পেয়ে বাইরে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ছিলেন সাজিদ হোসেন, ওঁকে দেখেছি, এখানে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে। যাঁদেরকে উদ্ধার করেছিলাম, প্রথমদিকে কিছু জন আমায় শিশুমঙ্গলে দেখতে গিয়েছিলেন, ব্যস। কিন্তু তখন আমি সবার সঙ্গে আলাদা করে আলাপ করতে পারিনি। এর মধ্যে আর কেউ আসেনি। তিনদিন আগে জি নিউজ থেকে এসেছিল। শুনছিলাম আমাদেরও ইন্টারভিউ নেবে। এখনও নেয়নি। ওরা নাকি একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করবে।
আমি চাই আমরি খুলুক। এখানকার সবাই চাই। কারণ একটা হসপিটাল থাকলে এখানে কত সুবিধা। রুজি রোজগারও হয় অনেকের। (পরে আমরির ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট আনন্দ বারিক বললেন, এখানে আগে কত ট্যাক্সি ড্রাইভার থাকত, নিয়মিত রোজগার ছিল তাদের। তারপর এই যে চায়ের দোকানটা বন্ধ। এটাও তখন জমজমিয়ে চলত। খাবারদাবার দোকানপাট সব তো এখন পড়ে গেছে।)
আমি ভালো আছি। শরীরে কোনো অসুবিধা একদমই নেই। এখনও আমি সেই কম্পিউটার কোর্স, সফটওয়ার হার্ডওয়ারই করছি। আর স্পোকেন ইংলিশ শিখছিলাম ভিটাতে। কাজের চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু সব জায়গাতেই এক্সপিরিয়েন্স চায়। আমি একটা অফিসে মুখের ওপর বলে দিয়েছি, কেউই যদি প্রথমে কাজ না দেয়, তো এক্সপিরিয়েন্সটা কোথা থেকে করাবো শুনি।
বাকি উদ্ধারকারীদের মধ্যে তড়িৎ পুরকায়েত দেশে। দেশ কোথায় জানি না। আর বাকিরা এখানেই।
আমরি যদি আবার এখানে চালু হয় প্রথমেই হয়তো লোকের বিশ্বাস আসবে না। সময় তো লাগবেই। তবে যাদের দরকার এমার্জেন্সির সময়, তাদের তো এখানে আসতেই হবে। আর বিশ্বাসটা নতুন করে আবার তৈরি করিয়ে নিতে হবে।
Leave a Reply