বরুণ ঘোষ (হরি), ঘুড়পেকে পাড়া (লক্ষীতলা), শান্তিপুর#
এই বছর বিশেষ করে আমাদের শান্তিপুরে আমবাগানে খুব ভালো মুকুল এসেছে। এবারের আবহাওয়া আমগাছের পক্ষে ভালো। মুকুল আসার আগে অর্থাৎ পৌষ মাসের প্রথমে প্রতি লিটার জলে ১/২ মিলি থেকে ১ মিলি আলফামেথ্রিন ১০% ইসি প্রয়োগ করে আমগাছটিকে ভাল করে ধোয়াতে হবে। প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য মুকুল দেরি করে বেরিয়েছে। এখনও মুকুল বেরোচ্ছে। একটি গাছে চার রকমের মুকুল দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আগুড়ি (আগের) মুকুলে দানা অর্থাৎ আমের গুটি কম, মাঝারি ও নাকি মুকুলে আমের গুটি বেশ ভালো। কিন্তু দিনে গরম রাতে ঠান্ডা হলেই বিশেষত বোম্বাই আমের দানা নষ্ট হবার সম্ভাবনা। দানা একটু বড়ো হলে অর্থাৎ মটরের মতো হলে ডাইথেন এম ৪৫ প্রতি লিটার জলে এক থেকে দেড় গ্রাম করে প্রয়োগ করলে ভালো হয়। এছাড়া ভিটামিন প্রয়োগ করলে আম বাড়ে তাড়াতাড়ি। মুকুল বাহির হলে ২১ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। ধষা পচা লাগলে ডাইথেন এম ৪৫ ব্যবহার করতে হবে।
আমাদের শান্তিপুরে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি। চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহে যদি বৃষ্টি হয়, তবে আরও ভালো ফলন পাওয়া যাবে। বিভিন্ন জাতের আম আমাদের শান্তিপুরে পাওয়া যায়। গুটি (আঁটি) আমের ফলন তো হবেই। এছাড়া হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, গোলাপখাস, চ্যাটার্জী, কিসানভোগ, ফজলি, কপাট ভাঙ্গা, গোপালভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা ও বিশেষ করে স্বাদে শান্তিপুর হিমসাগরের বিকল্প নেই। তবে শান্তিপুরে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। আমচাষিদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। আম সংরক্ষণ করা গেলে আমচাষিরা উপকৃত হবে।
Leave a Reply