অরুণ পাল, বালি, ৮ আগস্ট#
বছর পঁচিশের কাশ্মীরি যুবক হিলাল আহ্মদ দার কাজ করতেন শ্রীনগরের একটা সিমেন্ট কারখানায়। খুন হওয়ার দিন তিনেক আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে ছুটি নিয়ে আসেন। গ্রামের নাম আলুশা হেলমতপাড়া। হিলাল গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় ইফতারের উপবাস শেষ করে গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে আর ফেরেননি। রাত এগারোটা পঁয়তাল্লিশে প্রবল গুলির শব্দ শোনা যায়। বুধবার সকালে বাড়ির লোকেরা গ্রামবাসীদের থেকে জানতে পারে, গ্রামের নদীর ধারে হিলালের মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিস জানিয়েছে, সেনাবাহিনী প্রথমে দাবি করেছিল হিলাল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী, পরে জানতে পারে তিনি একজন সাধারণ নাগরিক।
দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার ২২ বছরের যুবক আকুইব হুসেন ছিলেন ট্যাঙ্কারের ড্রাইভার, গত দু-বছর ধরে তিনি সিআরপিএফ ক্যাম্পে জল সরবরাহ করতেন। গত ৩১ জুলাই হুসেনের সাথে সিআরপিএফ সেনাদের কোনো একটি কারণে তক্কাতক্কি হয়, যার জেরে সিআরপিএফ তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়। সিআরপিএফ যথারীতি ট্রাক দুর্ঘটনায় হুসেন মারা গেছে বলে দেখিয়েছে।
কাশ্মীরে আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার আইন (আফস্পা) লাগু থাকায় সামরিক বাহিনী প্রায় যা খুশি করতে পারে।
Leave a Reply