সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৫ মার্চ#
‘আফজল গুরুর ফাঁসি আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার এক প্রহসন। আফজলের স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনরা এবং কাশ্মীরের জনগণ আবেদন জানিয়েছে যে আফজলের দেহাবশেষ নয়া দিল্লির তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হোক কাশ্মীরে তাঁর নিজের গ্রামে। জম্মু ও কাশ্মীরের নয়া নির্বাচিত সরকার ন্যায্যভাবেই ভারত সরকারের কাছে দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আমরা এই দাবি সমর্থন করি।’ — এই বয়ানে কিছু মানুষ একটি আবেদনপত্র পাঠিয়েছে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন জিতেন নন্দী, কিরীটি রায়, অমিতদ্যুতি কুমার, সুশোভন ধর, সিএস ভট্টাচার্য, সৌমিক দত্ত, মেহের ইঞ্জিনিয়ার, অশোক চট্টোপাধ্যায়, তিলক দাশগুপ্ত, অমিয় দেব, শমীক সরকার, সোমা দাশগুপ্ত, সুমিত সিনহা, রমেশ পাটনায়ক, ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য, সৌরিন ভট্টাচার্য, কানাইলাল বিশ্বাস, অলোকেশ মণ্ডল, সুজয় বসু, সুব্রত মুখার্জি, চূর্ণী ভৌমিক, সব্যসাচী দেব, নুরুল ইসলাম, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, অতনু সিংহ, সোহিনী রায়, প্রত্যয় ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি মণ্ডল, স্মিতা রায়, দিঠি ভট্টাচার্য, তমাল ভৌমিক, মণিদীপা ভৌমিক, বঙ্কিম, শমিত আচার্য, শ্রীমান চক্রবর্তী, রঘু জানা, প্রলয় গুপ্ত, মিহির চক্রবর্তী, বিশ্বজিত চৌধুরি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী আফজল গুরু ওষুধের ব্যবসা করতেন। তাঁকে অপহরণ করা হয় এবং দিল্লিতে মিডিয়ার সামনে হাজির করে দিল্লি পুলিশ, অভিযোগ — তিনি ২০০১ সালের পার্লামেন্ট আক্রমণের অন্যতম সহ-ষড়যন্ত্রী। নিম্ন আদালতে আফজল এবং আরেক অভিযুক্ত গিলানির ফাঁসির রায় হয়। উচ্চতম আদালতে অধ্যাপক গিলানি বেকসুর খালাস পান, কিন্তু আফজলের রায় বহাল থাকে, যদিও আফজলের বিরুদ্ধে পুলিশি হেফাজতে করা স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ ছিল না। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আফজলকে দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁর দেহাবশেষ তিহার জেলেই পড়ে রয়েছে।
Leave a Reply