ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস, ১৩ সেপ্টেম্বর#
১০ সেপ্টেম্বর কুডানকুলাম পরমাণু প্রকল্পে ইউরেনিয়াম জ্বালানি ভরার কথা ছিল। এমনই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর পরমাণু প্রকল্পের অহিংস ণ্ণদখল’-এর ডাক দেয় কুডানকুলামের পরমাণু শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ‘পরমাণু শক্তির বিরুদ্ধে জন আন্দোলন’। সেই আন্দোলনের ওপর পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে। গুলি চালায় থুথুকুড়ি-তে। একজন মৎস্যজীবী মারা যায়। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
এর প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়, কুডানকুলামের চুল্লিতে জ্বালানি সংযোগে স্থগিতাদেশ চেয়ে। সুপ্রিমকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা-র চেয়ারম্যান এস এস বাজাজ জানান, কুডানকুলামের পরমাণু প্রকল্পে জ্বালানি ভরার আদেশ-ই এখনও দেওয়া হয়নি। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা কুডানকুলামের জন্য ১৭ দফা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুপারিশ করেছিল। তা শেষ হতে ৬ মাস থেকে ২ বছর লাগার কথা। তার কিছুর কাজ শুরু হয়েছে। সেগুলির বিষয়ে এনপিসিআইএল বা ভারতের পরমাণু কর্তৃপক্ষ ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দেবে, এবং সেগুলি খতিয়ে দেখে এইআরবি ‘সন্তুষ্ট’ হলে তবেই জ্বালানি সংযোগের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদীর ওপর বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের কায়দায় কুদানকুলামে পরমাণু বিরোধী আন্দোলনকারীরা জল সত্যাগ্রহ আন্দোলন করল আজ. নিচের ছবিতে সেই আন্দোলনের ছবি অ্যান্টনি কেবিস্টন ফার্নান্ডো-র তোলা.
Leave a Reply