হাতে পেলাম ‘শাপলা’ নামের চার পাতার এক পত্রিকা। তারপর দেখি ওমা শাপলা তো পুটুকদের জন্য আঁকা লেখার খাতা! আর পুটুকদের তো আমরা সবাই চিনি, সবাই দেখেছি ওদেরকে ভিড় বাসে জানলার ধারে ঠায় নাক লাগিয়ে থাকতে, পার্কের দোলনায় কিংবা ঘুড়ি হাতে ছাদের কার্নিশে। শাপলা ওদের ম্যাজিক স্লেট তাতে ওরা যে যা লেখে সবই ভালো। ওরা মনের সুখে লেখে, কেউ কাটা দেয় না, বানান ভুল ধরে না। যত খুশি যা খুশি লেখা যায়, আঁকা যায় ঠিক-ভুলের চোখরাঙানিকে পাত্তা না দিয়েই।
সম্পাদক সেলিম মল্লিক আর প্রকাশক আলি রেজা আখতারুজ্জামান কতদিন ধরে ছোট্ট মানুষদের কথা বলবার এই অশাসিত পরিসর যুগিয়ে আসছেন তা জানি না। তবে শাপলা ফুলের মতোই সুন্দর আর মনোগ্রাহী এই পত্রিকা, যেন শীতের সকালের এক ঝলক রোদ্দুর, ওম করে দেয় মনটা। ভোরাই অধিকারীর লেখায় জোনাকি আর পিঁপড়ের বন্ধুত্ব কিংবা উজান চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ালের গল্প পড়ে আরও একবার ভালো হতে ইচ্ছে করে। কখনো কখনো উপেন্দ্রকিশোরের লেখার অংশও পড়ে নেওয়া যায় এই পত্রিকার পাতায়।
আরও ফুটে উঠুক শাপলা চারিদিকে, শ্যাওলারা সব ঢেকে যাক।
—- পাঠক, চূর্ণী ভৌমিক
Leave a Reply