শমিত আচার্য, শান্তিপুর, ৩০ আগস্ট#
প্রতিদিনই সকাল দশটা পাঁচের শান্তিপুর শিয়ালদা লোকাল দেরিতে ছাড়ায় কয়েক হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ছে। গত জানুয়ারি মাসের পর থেকেই এই সমস্যার ভুক্তভোগী লোকালের নিত্যযাত্রীরা। ট্রেন লেট হওয়াতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে উঠছে, কর্মস্থলে পৌঁছতে তাদের দেরি হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে এই অসুবিধার জন্য প্রায় একঘণ্টা রেল অবরোধ করে নিত্যযাত্রীরা। কয়েকদিন ট্রেন ঠিকঠাক চললেও আবার লেট করতে শুরু করে।
একাধিকবার স্টেশন আধিকারিকের সঙ্গে যাত্রীরা দেখা করে এবং তাদের অসুবিধার কথা বোঝাতে চেষ্টা করে। তিনি বিষয়টি বুঝলেও এব্যাপারে তাঁর অপারগতার কথা জানান এবং বলেন, উর্ধতনকে জানাব। গত ২৯ আগস্ট কালিনারায়ণপুর জংশন স্টেশনে একটি পয়েন্ট বসে যাওয়ায় ট্রেনটি ঢুকতে দেরি করে। অপরদিকে ডাউন শিয়ালদা ট্রেনটি ছাড়তে দেরি করে। উপস্থিত যাত্রীদের অনেকেই স্কুল শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রী। যদিও তাদের অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটি নির্বিকারে সহ্য করছে। উপস্থিত যাত্রীদের কেউ কেউ স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে বলাতে তিনি তাঁর অক্ষমতার কথা জানান। এবং বলেন, অবরোধ ছাড়া এর কোনো প্রতিকার নেই। আপনারা লাইনে ট্রেনের সামনে বসে পড়ুন। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে তিনি ট্রেন অবরোধ করতে বলেন। সেইমতো কিছু যাত্রী ট্রেনটি অবরোধ করে। অসংগঠিত যাত্রীদের ওইদিনের অবরোধ পনেরো মিনিট চলে। তারপর আরপিএফ বুঝিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে বললে অবরোধ ওঠে।
বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ আবেদন নিবেদনে কোনো সমস্যা আর মিটবে না। ডিরেক্ট অ্যাকশনই একমাত্র রাস্তা। অন্তত সেদিনের কর্তব্যরত স্টেশন আধিকারিকের মন্তব্যে সেরকমই ইঙ্গিত মিলল।
Leave a Reply