৪ আগস্ট, দুপুর ১টায় আমরা আকড়া থেকে নিগৃহিতার মাকে সাথে নিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ৭৫নং বেডে শুয়েছিলেন তিনি। সিকিউরিটির কর্মীদের ওপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ ছিল, তরুণীর সঙ্গে যাতে কেউ দেখা করতে না পারে। ওর মা তরুণীর কোলের ছেলেটাকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন। তরুণী ছেলেকে কোলে নিয়েই বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করল। এদিকে বাইরে সিকিউরিটির কর্মীরা আমাদের ওর সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিতে এগিয়ে এল। এই অবস্থার মধ্যে আমরা কোনোরকমে ওর জবানবন্দি সংগ্রহ করেছি#
ফুচকা আনতে গিয়েছিলাম। মাঝরাস্তায় সাদা গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘তোকে বে করব, ভালোবাসি’ বলে তাজ আমাকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। ওরা হাত দিয়ে মুখ চেপে দিয়েছিল আর গানটা বহুত জোরে চালিয়ে দিয়েছিল। মোট পাঁচটা ছেলে ছিল। কত মার মেরেছে। গাড়িটা ডাকঘরের ওইদিকে চলে গেল। ওরা একটা ট্যাবলেট আর সাদা এত বড়ো বোতল থেকে কী একটা খাইয়ে দিতে … খেতে চাইনি বলে আমাকে জোরজবরদস্তি কী মার মেরেছে। সব্বাই মিলে ওই করতে … আমার জামাটামা ছিঁড়ে দিয়েছে। রেপ করেছে। বহুত জোরে গান চলছিল, বারণ করেছি বলে কী মার মেরেছে। পাঁজরে হাত দিয়ে এরকম এরকম করে মেরেছে। ড্রাইভার ছাড়া পাঁচজনই করেছে। তাজকে চিনি। তারপর আমাকে বলে, ‘এই পায়জামার গাঁটটা বাঁধ’। তারপর গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল। ছুঁড়ে ফেলে দিতে দুটো লোক এসেছিল। সেই দুটো লোক পায়ে পানি ঢালতেছিল আর গাড়িটাকে ধরতে গিয়েছিল। গাড়িটা চলে গিয়েছিল। আমায় জিগেস করেছে … আমি বলেছি বেড়াবাগানে আমাদের বাড়ি। বলে তোমার বাবার নাম কী। সব জিগেস করেছে, আমি বলিছি। বলতে … মা দেখি আসছে।
তাজ আমাদের পাড়ার ছেলে। হিন্দুস্তানি ছেলেটা ছিল, ওই ছেলেটার তিনটে নাম। একটা নাম রাজ, একটা বিকি, একটা ছোটু। তাজের বন্ধু। ওরা কোন পাড়ায় থাকে আমি জানি না। সব ক-টা হিন্দুস্তানি, ওদের কথা কিছু বুঝতে পারিনি। ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল।
ডাক্তার বলেছে, এখানে কেউ এলে তোমাকে আজকেই ছুটি দিয়ে দেব। পা ড্রেসিং করতে চায় না। কিচ্ছু করে না, কিচ্ছু না। সব জায়গায় কেটে গেছে। এই ড্রেসিংটা আজকে করেছে।
Leave a Reply