সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর#
” |
হোক হোক হোক কলরব |
এই ভিসিকে চিনে নাও, ওএলএক্সে বেচে দাও |
পুলিশ তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশ’ বারো |
পুলিশ তুমি মারলে এত, মাইনে তোমার বাড়লো কত |
আয় পার্থ দেখে যা, যাদবপুরের ক্ষমতা |
কালীঘাটের ময়না, এখানে ওসব হয় না |
উই ওয়ান্ট জাস্টিস |
আলিমুদ্দিন শুকিয়ে কাঠ, এবার পালা কালীঘাট |
হাল্লা বোল |
প্রতিবাদে কমরেড, গড়ে তোলো ব্যারিকেড |
পুলিশ যত মারবে, মিছিল তত বাড়বে |
ছাত্রছাত্রীদের কিছু স্লোগান |
১৭ সেপ্টেম্বর ভোররাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের বেধড়ক মারের পর ছাত্র প্রতিবাদ দেখল কলকাতা। ওইদিনই বিকেল তিনটেয় কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোলপার্ক অবধি মিছিল করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তনী এবং অন্যান্য কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রী। তারপর দিন ফের একাধিক মিছিল হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি মিছিল আনোয়ার শাহ রোডে হয়, ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল আরো বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গবেষকরা এবং শিক্ষকরা মিছিল করে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশের মারের সাফাই গান হাসপাতাল থেকে। প্রসঙ্গত, এর আগেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার পুলিশি হামলার পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে, কিন্তু প্রাকারান্তরে স্বীকার করে নেয়, সেই রাতে ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছিল পুলিশ।
১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সাধারণ সভা হয়। সেই সভায় কলকাতার অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও হাজির হয়েছিল। ঠিক হয় ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার নন্দন চত্বর থেকে ছাত্রছাত্রীরা রাজভবন অবধি মিছিল করে গিয়ে রাজ্যপাল, যে কিনা পদাধিকার বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ-ও বটে, তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ওই মিছিলের সংগঠনের নাম ঠিক হয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্টস্ মুভমেন্ট ফর জাস্টিস, ইকুয়ালিটি এন্ড ফ্রিডম।
২০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়ে সারাদিন ধরে চলা তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় তিরিশ হাজার ছাত্রছাত্রী মিছিলে হাটে। এক অভূতপূর্ব ছাত্রমিছিল ও জমায়েত রাজ্যপালকে স্মারকলিপি জমা দেয়।
ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আইআইটি, টিস (মুম্বই), আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা প্রতিবাদ জানায়। দিল্লিতে ছাত্রছাত্রীরা বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
রাস্তায় নেমে এই প্রতিবাদ সংগঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে সোসাল মিডিয়াগুলো, বিশেষত ফেসবুক। প্রিন্ট এবং টিভি মিডিয়াও সেপ্টেম্বর ছাত্রছাত্রীদের পুলিশি প্রহারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে অন্যতম ভূমিকা নেয়।
Leave a Reply