‘রিক্লেম আওয়ার বিচেস’ নামক গুগল ইমেল গ্রুপে নিতি জে-র ইমেল থেকে, খবরের সূত্র মুলিগান, ইদিনথাকারাই, ১২ ডিসেম্বর#
কুদানকুলাম পরমাণু প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনের তিন নেত্রী জেভিয়ার আম্মা, সুন্দরী এবং সেলভি সবাই অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন। তিনজনেই ত্রিচি মহিলা কারাগার-এ বন্দী ছিলেন।
১ ডিসেম্বর জামিন পান জেভিয়ার আম্মা এবং সেলভি। তাদের বিরুদ্ধে ছ’টি কেস ছিল। আরও চারটি নতুন কেস দিয়ে জেভিয়ার আম্মা ও সুন্দরীর গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ভালিয়ুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট নতুন পরওয়ানাগুলি দিতে অস্বীকার করে এবং পুলিশের এই যা-খুশি-তাই ব্যবহারের জন্য নিন্দা করে। কুদানকুলাম আন্দোলনাকারীদের উকিলরা
একটি পিটিশন জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টকে উল্লেখ করে, যা ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আসে। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আন্দোলনকারীরা তথ্য অধিকার আইনের সহায়তা নিচ্ছে, কোর্টের প্রশাসন কীভাবে এই ইস্যুটিতে কাজ করছে তা জানার জন্য। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং কোর্টের ক্লার্কদের কোনও গোপন আঁতাত সম্পর্কে সতর্ক করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি আন্দোলনকারীদের জমা দেওয়া পিটিশনের জবাব দেওয়ার জন্যও পুলিশকে বলেন। পুলিশের কাছ থেকে এর ঠিকঠাক জবাব না পেলে এবং পুলিশের কাজের আইনগত ভিত্তিটি পরিষ্কার না হলে ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তারি পরওয়ানায় সম্মতি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। যাই হোক, যেহেতু জেভিয়ার এবং সেলভির জামিনের কাগজ তৈরি হচ্ছিল, অতএব অন্য কোনও গ্রেপ্তারি পরওয়ানা এমনিতেই কাজ করত না। পুলিশ যাদি তাদের গ্রেপ্তার করতে চায়, তাহলে তাদের তা ফের নতুন করে করতে হবে।
সুন্দরীর বিরুদ্ধে ১২টি কেস ছিল। তার আটটিতে তিনি আগেই জামিন পেয়েছিল। শেষ কয়েকটিতেও তিনি জামিন পেয়েছেন ১২ ডিসেম্বর। ১৩ তারিখে তার মুক্তি পাওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, জেভিয়ার আম্মা এবছর ৬ আগস্ট কুদানকুলাম থেকে কলকাতায় এসে স্টুডেন্টস হল-এ বক্তব্য রেখে যান।
Leave a Reply