সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৩ জানুয়ারি#
২৮ ডিসেম্বর আম আদমি পার্টির সরকার দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনতার সামনে শপথ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যেই নতুন সরকার দিল্লির প্রতি পরিবারকে বিনামূল্যে প্রতিদিন ৭০০ লিটার জল সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেইদিনই, দক্ষিণ এশিয়ার বাঁধ, নদী ও জল নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন হিমাংশু ঠক্কর ও ‘যমুনা জিয়ে অভিযান’-এর মনোজ মিশ্র, এঁরা দুজন আম আদমি পার্টির নেতাদের একটি চিঠি দেন। এতে বলা হয়েছে —
১। চূড়ান্ত অস্বচ্ছ, স্বেচ্ছাচারী ও দায়বদ্ধতাহীন দিল্লি জল বোর্ডকে নিচুতলার মহল্লা সভা স্তর থেকে ওপর পর্যন্ত গণতান্ত্রিক করে তুলতে হবে।
২। এমনিতেই আমস্টারডাম, প্যারিস, বন বা ইউরোপের বেশিরভাগ শহরের তুলনায় জনপিছু বেশি জল পায় দিল্লি শহর। দিল্লি জল বোর্ডকে আগামী বিশ বছরের জন্য এমন এক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে যাতে নতুন করে কোনো জলাধার থেকে জল সংগ্রহ না করতে হয়। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, ফাটলের মধ্য দিয়ে জল নষ্ট করা বন্ধ, জলের হিসেব রাখা, প্রতিটি জংশনে জলের মিটার বসানো, অপচয় হওয়া জলকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা, অহেতুক জল খরচ হয় এমন কাজকর্ম বন্ধ, স্থানীয় জলের উৎস পুকুর-খাল ইত্যাদিকে রক্ষা, বন্যা, নদীর অববাহিকা ইত্যাদি পরিবেশগত জলের সরবরাহকে সুনিশ্চিত করতে পারলে দিল্লির মানুষকে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা সম্ভব।
৩। পরিবার পিছু ৭০০ লিটার জল বলতে জনপিছু দৈনিক ১৪০ লিটার জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দৈনিক জনপিছু ৫০ লিটার জল যথেষ্ট। এক কিলোলিটার জলের জন্য সর্বনিম্ন ১ টাকা করে নেওয়া যেতে পারে। যারা বেশি জল ব্যবহার করবে, তাদের অতিরিক্ত টাকা ধার্য করা যেতে পারে। এতে সরকারের কিছু আয় হবে।
৪। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে দিল্লি জল বোর্ড যে চুক্তি করেছে, তা জনসাধারণের নজরে আনতে হবে।
এইরকম আরও আটটি প্রস্তাব পত্রলেখকেরা দিয়েছেন। ২০০৫ সালে দিল্লিতে জলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা আন্দোলন করেছিলেন, সুতরাং তাঁরা এই প্রস্তাবকে অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
Leave a Reply