• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

সেশাচলম জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২০ জন তামিল দিনমজুর হত্যা : সাজানো সংঘর্ষের প্রমাণ বাড়ছে

April 12, 2015 admin Leave a Comment

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১২ এপ্রিল#

অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে এসটিএফ-এর গুলিতে মৃত দিনমজুরদের ছবি আইএএনএস-এর সৌজন্যে।
অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে এসটিএফ-এর গুলিতে মৃত দিনমজুরদের ছবি আইএএনএস-এর সৌজন্যে।

৭ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে একই দিনে ২০ জন মারা গেছে অন্ধ্রপ্রদেশ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গুলিতে। নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ানে, মৃতরা সবাই ওই জঙ্গলে দুষ্প্রাপ্য লাল চন্দন কাঠ কেটে চোরাপাচার করছিল, হাতে নাতে ধরা পড়ে যাবার পর তারা আত্মসমর্পনের বদলে নিরাপত্তারক্ষীদের চ্যালেঞ্জ করে পাথর, ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে; প্রায় দেড়শো জনের আত্মসমর্পনের মুখে পড়ে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে দুটি পৃথক এলাকায় মোট ২০ জন মারা যায়; বাকিরা পলাতক।
কিন্তু ঘটনার কয়েক দিন পর তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলার মুরুগাপাণ্ডি গ্রামের এক জনমজুর শেখরের নাম ভেসে আসে সংবাদমাধ্যমে। শেখর কাইতাকামাল জানায়, তারা আটজন ঘটনার দিন বাসে করে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজের খোঁজে যাচ্ছিল, যেমন তারা যায়। কিন্তু সেদিন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর সীমান্তে চিত্তুর জেলার নাগারির কাছে বাস পৌঁছলে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ ঢুকে সাতজন জনমজুরকে তুলে নিয়ে যায়। সে একটু আলাদা বসেছিল তার বৌ-এর সঙ্গে, তাই তাকে মজুর বলে চিনতে পারেনি, তাই সে বেঁচে যায়। পরের বাসস্টপে নেমে সে ফিরে আসে নিজের গ্রামে। তিরুভান্নামালাই এবং ভেলোর জেলার গ্রামে গ্রামে এই কথা লোকের মুখে মুখে ফিরছে। শেখর তার পরিবার সহ পলাতক।
ঘটনাস্থলটি লোকালয় থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে। সেখানে ঘটনার পরে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মতে, ছুরি বাদে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি, দেহগুলিও পড়েছিল দশ-বারো ফিট ব্যবধানে, আশেপাশের গাছে কোনো বুলেটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চন্দন গাছের মাত্র ২০টি শাখা পাওয়া গেছে। ফলে পুলিশ যেমন বলেছিল, প্রায় শ’দেড়েক লোক আক্রমণ করেছে, তাদের সবার হাতে চন্দন গাছের কাটা অংশ ছিল — তা ঠিক নয়। লাশগুলির হাতে, বুকে, মুখে খুব কাছ থেকে করা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এমনকি পোড়ার দাগ অবদি পাওয়া গেছে, যা অত্যাচারের চিহ্ন। সব মিলিয়ে সংঘর্ষের কোনো যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখা যায়নি। বরং সাজানো সংঘর্ষের গল্প ফাঁদা হয়েছে, আসলে ধরে নিয়ে অত্যাচারের পর জঙ্গলে ঠাণ্ডা মাথায় মেরে দেওয়া হয়েছে — এমনই সম্ভবনা। সাজানো ঘটনার ইঙ্গিত জোরালো হওয়ায় তাকে রোখার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যাতে দেখা যায়, জঙ্গলের মধ্যে বহু লোক ঘোরাফেরা করছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক দল সিপিআই-এর এক নেতা দাবি করেছেন, এই ভিডিওটি ভুয়ো — সেটি মামানদুর জঙ্গল থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তোলা ভিডিও।
এরই মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। সেই আদেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তামিলনাড়ু সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছে। সারা তামিলনাড়ু জুড়ে তামিল দিনমজুরদের এই হত্যার বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে।

মানবাধিকার অন্ধ্র প্রদেশ এসটিএফ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্দন মাফিয়া, চোরাচালান, বীরাপ্পান, লাল চন্দন, সেশাচলম

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in