• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

সুপুর, বোলপুরের কাছে একটি হারিয়ে যাওয়া গ্রাম

September 18, 2012 admin Leave a Comment

দীপংকর সরকার, হালতু, ১৭ সেপ্টেম্বর#

এটা খুবই অনুতাপের বিষয় যে, আমরা অনেকেই শান্তিনিকতন যাই মাঝে মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধের আশ্রম দেখতে, খোয়াইয়ের প্রাকৃতিক রহস্য উদ্ঘাটনে। কিন্তু বোলপুরের আশে পাশে হারিয়ে যাওয়া মন্দির স্থাপত্যগুলির খোঁজ আমরা ক’জনই বা রাখি। এমনই হারিয়ে যাওয়া গ্রামের নাম সুপুর ও লাভপুর। প্রত্নতাত্বিকদের কাছেস্থানদুটির নাম পরিচিত হলেও সাধারণের কাছে আজও এই গ্রামগুলি অচেনাই থেকে গেছে। কথিত আছে সুপুর ও লাভপুরের কাছে দেবী ফুল্লরার মন্দির হল সতীর একান্ন পীঠের একপীঠ। প্রত্যেক বছর মাঘি পুর্ণিমায় এখানে বড় মেলা বসে।

ছবি লেখকের তোলা

ভোরের ৬-০৫-এর গণদেবতা ধরে বোলপুর স্টেশন, সেখান থেকে চুক্তিবধ রিক্সায় চেপে রওনা হলাম।  বোলপুর স্টেশন থেকে কবি জয়দেব রোড ধরে প্রায় ১৪ কি.মি. ভেতরে অজয় নদীর তীরে সুপুর গ্রাম। রিক্সায় যেতে যেতেই উঁচু নীচুঁ লাল সুরকী বিছানো মাটির রাস্তার দুধারে গ্রামের দৃশ্য সকলেরই চোখ টানে। মাঝে মাঝে চোখে পড়ে রাস্তার পাশে দোতালা তিনতলা মাটির দেওয়ালের বাড়ী তার পাশে চড়ে বেড়াচ্ছে গরু, মোষ, ছাগল। শান্ত, সামাহিত নিস্তরঙ্গ এই গ্রামের মধ্যেই একদা গত আঠেরো শতকে ঘাঁটি গেড়েছিল ফরাসী বণিকরা।

সুপুরের প্রধান আকর্ষণ এখানকার জোড়া মন্দির। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে টেরাকোটার নঁকশা বাংলার অতিপরিচিত শিল্পসত্তাকে মনে করায়। মন্দিরের সামনের দিকে দেবী দুর্গা তার পরিবার সহ বিরাজমান। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানেই মন্দিরটি সংরক্ষিত। তবে মন্দিরের বহু অংশেই ভগ্ন দশা চোখে পড়ার মতো।

রিক্সা চালক আমাকে জোড় মন্দিরের সামনে এনে দাঁড় করালেন। আমি এক ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্দির চত্বরের ভিতরে ঢুকলাম। মন্দিরের চারপাশ দেখার পর আমি গ্রামের ভিতরে লাল সুরকীর পথ ধরলাম। ছবিও তোলা হল। এখানে একটু এগিয়ে বাদিকে চোখে পড়ল গ্রামের সবথেকে প্রাচীন সুরাটেশ্বর শিব মন্দির। মূল মন্দিরের অংশ নেই বললেই চলে। তবে কিছু ভাঙা স্তম্ভ ও বিগ্রহ আশে পাশে ছড়িয়ে রয়েছে। গ্রামের আরও ভিতরে যেতে যেতে কাঁচা রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়ল বেশ কয়েকটি ভাঙা মন্দির। ছবি তুলে রাখলাম মন্দির গুলোর এই ভেবে যে আগামী দিনে হয়ত এগুলিও হারিয়ে যাবে। বাংলার স্থাপত্য শৈলীর এই নিদর্শনগুলি যে ক্রমশঃ ধ্বংষের মুখে এগিয়ে চলেছে তা ভাবতে ভাবতেই ফিরে এলাম রিক্সা চালকের গাড়ীর সামনে।

বাংলার আনাচে কানাচে এভাবেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন ও মধ্যযুগের স্থাপত্য-ভাস্কর্যের নিদর্শন। যেগুলির অধিকাংশই রয়েছে লোক চক্ষুর আড়ালে এবং উপেক্ষিত। আমার খোঁজ এই উপেক্ষিত পরিত্যক্ত বাংলার হারিয়ে যাওয়া গ্রাম, হারিয়ে যাওয়া শিল্প, আড়ালে থাকা প্রকৃতিকে ঘিরেই। বিষাদ মনে রিক্সায় বোলপুর স্টেশনে ফিরে বামদেব লোকালে বর্ধমান। সেখান থেকে হাওড়া ফিরলাম।

 

সংস্কৃতি দেউল, বোলপুর, ভ্রমণ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in