• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

মুফু কিম্বা মোহাব্বৎ- এভাবে সংসার আর চলে না

August 24, 2020 admin Leave a Comment

শমিত। শান্তিপুর। ২৩ অগাস্ট, ২০২০।#

বর্ষার দুপুরে কথা হচ্ছিল টোটো রিক্সাচালক মুফুভাই এর সঙ্গে। বাড়তি রোজগারের জন্য আংশিক সময়ে টোটো চালায় মুফু। হররোজ দুপুরে শান্তিপুরের মুন্সির পুল অঞ্চলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে খদ্দেরের আশায়। কথায় কথায় মুফুর কাছ থেকে জানা গেল বর্তমানে রোজগারপাতির হালহকিকত। পরিবারে চারজন সদস্য। মুফু একমাত্র রোজগেরে। একবেলা পারিবারিক বিঘা চারেক জমি চাষ আবাদ করলেও সংসার চালাতে বছর পাঁচেক আগে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একখানা টোটো গাড়ি কেনে। তখন ভালোই প্যাসেঞ্জার পাওয়া যেত। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা রোজগার হতো। করোনাকালে প্রায় মাস তিনেক গাড়ি রাস্তায় নামেনি। এখন দুপুর থেকে সন্ধে অবধি পাঁচ সাত জন প্যাসেঞ্জার পাওয়া যায়। খুব বেশি হলে ১০০ থেকে ১২০ টাকা রোজগার হয়। ব্যাটারি চার্জের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা ব্যয় হয়। গাড়ি ফেলে রাখলে ব্যাটারি বসে যেতে পারে- এই আশঙ্কায় প্রতিদিন রাস্তায় বেরতে হয়, অথচ প্যাসেঞ্জার খুবই কম। বেশিরভাগই একজন প্যাসেঞ্জার নিয়ে টোটো গাড়িগুলো ছুটছে। ন্যূনধিক ভাড়া মাথাপিছু দশ টাকা। রাস্তায় টোটো গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু খদ্দের কোথায়? আবার চাষের কাজেও লাভ দেখা যাচ্ছে না। ৪ বিঘা জমি। ২ বিঘার পাট কাটতে পেরেছে। এখনও ২ বিঘা জমির পাট মাঠেই রয়েছে। পাটের দাম এবার কী দাঁড়াবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে মুফুর মনে। তবে পাট উঠলে সর্ষে, ধনে অথবা মুসুরি কিছু একটা ফসলে লাগাবে তা জানা গেল। মুফু জানালেন, সরকার চাল দিচ্ছে বলে কোনোরকমে সংসার চলে যাচ্ছে। চালের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে সরকার ঠিক কাজ করেনি মত দিলেন মুফু।



পেয়ারা আর পাতিলেবু বিক্রি করেন। খুব কম লাভ রেখে। আজ পেয়ারা দশ টাকা কিলো আর পাতিলেবু দশ টাকায় দশটা। আগে পাওয়ারলুম বুনতেন। কারিকর পাড়ায় বাড়ি। ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে তিনটে চারটে পর্যন্ত কাজ করেন। ১০০/১৫০ টাকা রোজগার হয়। স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে বাইগাছিপাড়া, ঘুরতে ঘুরতে থানার মোড় হয়ে ঘুরতে ঘুরতে বাড়ি। প্রায় পুরো শান্তিপুর শহরের সিংহভাগটাই। প্রায় এগার ঘন্টা সাইকেলে ঘুরে বিক্রি করেন। মোহাব্বৎ।


ছবি ও প্রতিবেদন ৫ অগাস্ট, জয়ন্ত ব্যানার্জির সক্রিয়তায়

চলতে চলতে করোনা, টোটোচালক, পেশা বদল, সংসার, সাইকেল

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in