• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

মদমত্ত হাতির সঙ্গে একরত্তি পিঁপড়ের লড়াই

February 16, 2015 admin Leave a Comment

১০ ফেব্রুয়ারি, জিতেন নন্দী#
ষোলোদিন দিল্লিতে কাটিয়ে ফিরেছি নির্বাচনের পরের দিন। যখন পৌঁছেছিলাম, তখন মিডিয়ার কাজিয়াতে আম আদমি পার্টির উপস্থিতি ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। নেহাতই বাহুল্য জনমত সমীক্ষায় প্রতিদিন আম আদমি পার্টির শতাংশ বাড়ছে। লম্বা দৌড়ে ক্রমে তা পিছন থেকে ছুটতে ছুটতে বিজেপিকে ধরে ফেলল, তারপর বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিল। কংগ্রেসের পাল্লা ঝুঁকে পড়ল একেবারে তলায়। লড়াইটা হয়ে পড়ল পরিষ্কার দ্বিমুখী। টক শোয়ের নামে টিভি চ্যানেলের এই হট্টগোল দেখলে আমার মাথা ধরে যায়। তাই নিস্তার পেতে আমি রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি।

সরাই রহিলা আর করোলবাগের রাস্তায় তখন গাড়িতে মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচার চলছে। সকলেরই প্রার্থীর নাম-সংকীর্তন গোছের কিছু গান রয়েছে রেকর্ড করা। সেগুলো অবিরাম বাজিয়ে অলিতে-গলিতে ঘুরছে দলের গাড়ি। তবে আম আদমি পার্টির একটাই গান, ‘পাঁচ সাল কেজরিওয়াল কেজরিওয়াল …’। এখানে ২০১৩ সালের বিজয়ী প্রার্থী বিশেষ রবি-র নামের প্রচার ছাপিয়ে চলেছে এই গানের স্রোত। গাড়ির ভিতর থেকে কিংবা পাশে হেঁটে লিফলেট বিলিও চলছে বটে। তবে সেসব নিয়ে পথচারীদের তেমন উৎসাহ নেই। আমি অবশ্য এগিয়ে গিয়ে সব দলেরই লিফলেট নিই। চোখ বুলিয়ে দেখি, কংগ্রেস বিজেপি আর আম আদমির লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলোর বেশ মিল রয়েছে। যেমন, বিনি পয়সায় জল, বিদ্যুতের রেট কম করা, দিল্লি জুড়ে মুফত ওয়াই-ফাই অর্থাৎ চব্বিশ ঘন্টা নিখরচায় ইন্টারনেট যোগাযোগ। তবে অমিলও কিছু চোখে পড়ে। যেমন, বিজেপি লিখেছে, সমস্ত মেয়েদের স্কুলে শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হবে। এটা পড়ে আমি একটু মুষড়ে পড়ি। সে কী! ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর আধুনিক রাজধানী দিল্লির মতো শহরে এখনও সব মেয়েদের স্কুলে শৌচাগার নেই!

তবে হতাশার চেয়ে আশাই জাগে বেশি। মিডিয়াতে পারস্পরিক গালিগালাজ ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের পাতি বিষয়গুলো এই নির্বাচনে অন্তত সব দলের ইস্যু হয়েছে। দিল্লিতে সরকারিভাবে চিহ্নিত অস্বীকৃত বস্তির সংখ্যা ৮৯৫, দিল্লির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাসিন্দা এইসব বস্তিতে থাকে। ঝুপড়ি-বস্তিবাসীর জন্য পাকা বাড়ি এবং সাফসুতরো পরিবেশ তৈরির কথা বরাবরই আম আদমি পার্টি বলে এসেছে। বস্তিবাসীরা ভয় পেয়েছে যে তাদের দিল্লি থেকে উচ্ছেদ হতে হবে। কংগ্রেসের চেয়েও এব্যাপারে বিজেপি বেশি উগ্র উন্নয়নপন্থী। আর তারাই ভোটের আগে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে দিয়েছে, ‘সমস্ত বেআইনি বস্তিকে সরকারি মান্যতা দেওয়া হবে।’ তাদের প্রচারপত্রে ‘বেআইনি’ শব্দটা যেন আইনি ব্যবস্থাকেই ব্যঙ্গ করছিল।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের যথাযোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রথমে দিল্লির বিজেপি-প্রধান সতীশ উপাধ্যায়কে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আম আদমি পার্টি সতীশ উপাধ্যায়কে নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলল — দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি বিসিইএস-কে মিটার বিক্রি করার ক্ষেত্রে সতীশ উপাধ্যায়ের কোম্পানি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। সতীশ অরবিন্দের ওপর মানহানির মামলা করার হুমকি দিলেন। অরবিন্দ তৎক্ষণাৎ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। বিজেপি সতীশের বদলে হেভিওয়েট হিসেবে কিরণ বেদিকে এগিয়ে দিল। কিন্তু কিরণকে দিয়ে সেরকম সাড়া ফেলা গেল না।

একজন পরিচিত বন্ধু বলল, কিরণ বেদি ঝাড় খেয়ে গেছেন এক জায়গায়। দিল্লির মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি নিজের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগ্যতা জাহির করছিলেন। মিডিয়া ওই প্রশ্নে আম আদমি পার্টি ‘আপ’-এর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল। আপ বলল, ঠিক আছে, এই বিষয় নিয়ে একটা প্রকাশ্য ডিবেট হোক। আমরা ব্যক্তির যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। কিরণ বেদি বললেন, আমি এখন কোনো ডিবেটে যাব না। একেবারে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অ্যাসেম্বলিতে আলোচনা করব। ব্যস! সকলে বুঝে গেল, কিরণ বেদি সামনাসামনি আসতে চাইছেন না। আপ এক পয়েন্টে এগিয়ে গেল। তারপর থেকে বিজেপি আরও বেশি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে নিয়ে এল। যদিও এর আগে রামলীলা ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সভা সেরকম জমানো যায়নি।

মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্নে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লি জুড়ে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ সিসিটিভি বসানো হবে। পুলিশ অনেক সময় মেয়েদের অভিযোগ নথিভুক্ত (এফআইআর) করে না। তাই পুলিশ স্টেশনেও সিসিটিভি বসানো থাকবে। একটা সুরক্ষা বোতামের ব্যবস্থা করা হবে, মেয়েরা মোবাইলের মাধ্যমে সেই বোতাম টিপে সাহায্য চাইতে পারবে। আর থাকবে ওয়াই-ফাই, ইন্টারনেটে যে কোনো সময়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া থাকবে মহিলা সুরক্ষা দল — মেয়েদের জন্য ১০,০০০ হোমগার্ড। আপ-এর এক স্বেচ্ছাসেবককে আমি প্রশ্ন করি, কিন্তু পুলিশ যদি মেয়েদের কথা না শোনে? — ‘তাহলে সরকারের কলসেন্টার থাকবে ২৪ ঘণ্টা, সেখানে সেই পুলিশের নামে অভিযোগ করতে হবে।’

প্রথমদিকে দেখতাম আপ-এর টুপি ভ্রাম্যমান প্রচারক আর জনসভার নেতাদের মাথায়। ক্রমশ সেই টুপি অটোওয়ালা-রিকশাওয়ালার মাথায় দেখলাম। ক্রমে পথের ধারে কচুরির দোকানদার, বাজারের সবজিওয়ালার মাথা থেকে মহল্লা-মহল্লায় শ্রমজীবী মানুষের মাথায় মাথায় উঠল সেই টুপি। সাদা ফিনফিনে কাপড়ের ওপর কালো প্রিন্ট করা টুপির একদিকে লেখা ‘ম্যাঁয় হুঁ আম আদমি’, অপরদিকে ‘মুঝে চাহিয়ে স্বরাজ’, দুদিকেই নিচে ‘চুনাও চিহ্ন ঝাড়ু’ আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছবি। নেতা, কর্মী আর আম আদমি সকলেরই মাথায় একই টুপি। টুপি এমন সর্বময় হয়ে উঠল যে বিজেপিও একই ধাঁচের একটা গেরুয়া টুপি আমদানি করল আর দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় কর্মীদের মাধ্যমে সেই টুপি বিলি করা শুরু করল। তাতেও আর একটা বাড়তি পয়েন্ট পেয়ে গেল আপ।

এক শনিবার মেট্রোয় চেপে ফিরছি। দেখা হল এক যুবক আপ-কর্মীর সঙ্গে। কথায় কথায় জানতে পারলাম পরের দিন রবিবার কেজরিওয়াল আসছেন দুপুর দুটোয় নেহরুনগরে। প্যাটেলনগরের কাছেই নাকি জায়গাটা। আমরা রবিবার তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে দুপুর একটা নাগাদ করোলবাগ লিবার্টি সিনেমার কাছ থেকে অটো নিলাম। প্যাটেলনগরে গিয়ে অটোওয়ালা আর নেহরুনগরের হদিশ করতে পারছেন না। ঘুরতে ঘুরতে চল্লিশ টাকা বিল উঠে গেল। আমরা অটো ছেড়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। যাকেই জিজ্ঞেস করি গ্রামের মতো একটা দিকনির্দেশ করে দিচ্ছে। আমরাও হেঁটেই চলেছি। কিছুক্ষণ পর দু-একজন বলতে শুরু করলেন, ‘কেজরিওয়ালকা মিটিং? আপ উধার যাইয়ে, ও রামলীলা গ্রাউন্ড মে আ রহে হ্যাঁয়।’ অবশেষে সওয়া দুটো নাগাদ আমরা একটা স্কুলের কাছে পৌঁছে দেখতে পেলাম টুপিওয়ালা কর্মীদের। ওরা আমাদের দুটো আলাদা লিফলেট দিল। একটাতে রয়েছে প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার আহ্বান সমেত প্রতিশ্রুতির তালিকা। আর একটাতে রয়েছে ‘সিটিজেন-লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’-এর অর্থ খরচ করার জন্য এলাকাভিত্তিক ‘রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ গড়ার আহ্বান।

এটা দিল্লির প্রসিদ্ধ রামলীলা ময়দান নয়। অখ্যাত নেহরুনগরের রামলীলা গ্রাউন্ড। এ এক অন্য দিল্লি। যেন আমরা পৌঁছে গেছি উত্তরপ্রদেশ-বিহারের কোনো শহরে। বেশিরভাগ বাড়ির গায়ে কোনো প্লাস্টার নেই, রাস্তার ওপর দেদার দোকানপাট, গাড়ির গতি কম। ময়দানের এক কোণে বালতি চিহ্নে দাঁড়িয়েছেন এমন এক মহিলা নির্দল প্রার্থীর সভা চলছে। তিনি ২০১৩-র নির্বাচনে আপ-এর টিকিটে জিতেছিলেন। জোরালো মাইকে বাজনা বাজিয়ে স্টেজের ওপর চলছে নাচ, সেটাই ওঁর নির্বাচনী সভা। এদিকে মাঠের মাঝে একটা বড়ো কিন্তু সস্তার স্টেজ। স্টেজ জুড়ে বসে আছেন আপ-এর স্থানীয় নেতারা। পিছনে একটা পেল্লায় ব্যানারে কেজরিওয়ালের ছবি, সেটা হাওয়ায় সামনে ধেয়ে আসছে বলে সামাল দিয়ে ধরে রয়েছে কয়েকজন কর্মী। স্টেজের সামনে হাতে মাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক যুবক-কবি, শাহনাজ হিন্দুস্তানি। তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচনের  কাজে এসেছেন। তিনি জনতাকে হাত তুলতে বলছেন, শ্লোগান দিতে বলছেন, নিজে কখনও ভাষণ দিচ্ছেন, কখনও গান গাইছেন, কখনও কবিতা আবৃত্তি করছেন। এইভাবে চলছে টানা আড়াই ঘণ্টা। কেজরিওয়াল এলেন পৌঁনে পাঁচটা নাগাদ। প্লাস্টিকের ঠোঙা থেকে গাঁদা ফুলের পাপড়ি বার করে তাঁর মাথায় মুহুর্মুহু পুষ্পবৃষ্টি করা হল। তিনিও এসে অন্যদের পাশেই স্টেজের মেঝেতে বসে পড়লেন। স্টেজে কোনো কুর্সি নেই। কিন্তু জনতার জন্য সাড়ে তিনশো কুর্সি রয়েছে। মাঠ জুড়ে তখন কাতারে কাতারে মানুষ। মাঠের সামনে বাড়িগুলোর বারান্দায় জানলায় ছাদে মেয়ে-বউদের ভিড়। দেখে মনে হল, কেউ এখানে দল বেঁধে আসেনি, প্রত্যেকে এসেছে একা একা ব্যক্তিগতভাবে।

কেজরিওয়ালের বক্তৃতায় মোদি বা মমতার মতো কোনো তেজোদ্দীপ্ত ভঙ্গি নেই। নরম ভঙ্গিতে তিনি বলে চলেছেন, কেন ৪৯ দিন পরে তাঁকে সরকার ছেড়ে দিতে হয়েছিল। — ‘আমি দুটো ভুল করেছিলাম। প্রথম ভুল, আমি আম আদমির রায় মেনে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকারে গিয়েছিলাম, কিন্তু আম আদমির রায় নিয়ে পদত্যাগ করিনি। এটা আমার একটা ভুলই বটে, তবে অপরাধ নয়। আসলে ২৮টা সিট নিয়ে পাঁচ সাল সরকার চালানো যায় না। আপনারা আমাকে পঞ্চাশটা সিট দিন, আমি পাঁচ সাল সরকার চালাব। আমার দ্বিতীয় ভুল হল, আমি ৪৯ দিন পর সরকারি কুর্সি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছি। রাজনীতিতে কুর্সি ছেড়ে যাওয়া চলে না।’ এই কথাটা বলে তিনি একটু তির্যক ভঙ্গিতে হাসলেন। ক্ষমতার কুর্সি আঁকড়ে বসে থাকাই তো আমাদের রাজনীতির গৌরব!

এক সাক্ষাৎকারে কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দিল্লি জয় করার পর তাঁর টার্গেট কী হবে, পাঞ্জাব না উত্তরপ্রদেশ? তিনি জবাব দিলেন, ‘আমি ধুলিকণার চেয়ে নগন্য একজন মানুষ। আমি দিল্লিতে কাজ করতে চাইছি। অন্য রাজ্যে সেখানকার মানুষ কাজ করবে।’ মনে হল তিনি বলতে চাইলেন, ভারতবর্ষে স্বরাজের ঠিকা তিনি একলা নেননি।

‘দিল্লিকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শহর করে তুলব’, এই প্রতিশ্রুতি শুনে অবশ্য মমতা ব্যানার্জির কথা মনে পড়ে গেল। কলকাতাকে তিনি লন্ডন করে তুলতে চেয়েছিলেন।

নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার ঠিক আগেই দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম আওয়ামকে আপ-কে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। আপ বিবৃতি দিয়ে সেই সমর্থন নিতে অস্বীকার করল। বিজেপিও বিবৃতি দিয়ে নাম না করে হিন্দুদের জামা মসজিদের এই মনোভাবের জবাব দিতে বলল ভোটের মধ্য দিয়ে। বেশ আগেই আর এক ধর্মীয় গোষ্ঠী ‘দেরা সচ সওদা’ বিজেপিকে সমর্থন করেছিল।

শেষ মুহূর্তের প্রচারের সময় ইতিমধ্যেই আপ-এর জয় ঘোষণা করে দিয়েছে মিডিয়ার জনমত সমীক্ষার হিসেব। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই বিজেপির প্রচার একেবারে চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছাল। আশপাশের রাজ্যগুলোর নেতা-মন্ত্রীরা সকলে তখন দিল্লিতে। লক্ষাধিক বাইরের কর্মী নিয়ে আসা হয়েছে। আপ-এর কর্মীরাও এসেছে হাজারে হাজারে। হিসেব মতো পঁয়ত্রিশ হাজার কর্মী কাজ করছিল, যাদের বেশিরভাগই বয়সে নবীন। নির্বাচনী প্রচারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ভোটের আগের দিন আর ভোটের দিন দিল্লি থেকে প্রকাশিত সমস্ত জাতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পাতা জুড়ে মোদির ছবি সহ বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন ছাপা হল।

ভোটের দিন সকালে করোলবাগের রাস্তায় বেরিয়েছি। চারদিক শুনশান। সামান্য কিছু গাড়ি চলছে পথে, দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ। লোক চলাচল কম, কেবল নির্বাচনী কেন্দ্রের কাছাকাছি ছোটোখাটো ভিড় আর দলীয় বুথ-অফিসে কাগজপত্র সাজিয়ে বসে রয়েছে কর্মীরা। একজন হকারের কাছ থেকে একটা খবরের কাগজ কিনলাম। দেখি প্রথম পাতা ভরে বিজেপির রঙিন মহাপ্রচার। ভিতরে তিনখানা বিজেপির লিফলেট। আর সেই কাগজেরই মাথায় এক কোণে বেগুনি কালিতে একটা ছোট্টো রাবার স্ট্যাম্প মেরে লেখা রয়েছে, ‘আপ, আম আদমি পার্টি, হার্দিক দিল সে ভোট করেঁ, না দারু না পয়সা, অব কী বার ফির চলেগি ঝাড়ু’। কে মারল এই একরত্তি স্ট্যাম্পটা? হকার নিজেই নাকি?

এ যেন এক মদমত্ত হাতির সঙ্গে একরত্তি পিঁপড়ের লড়াই!

 

আন্দোলন আপ, আম আদমি পার্টি, কেজরিওয়াল, দিল্লি

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in