• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

নিজেদের কলমে : ‘আমরা আমাদের মতো সুখে আছি’

June 29, 2015 admin Leave a Comment

বাবলি, কলকাতা, ১১ জুন#

বাবলি-র ছবি তুলেছেন সুপর্ণা। ২৩ জুন ২০১৫
বাবলি-র ছবি তুলেছেন সুপর্ণা। ২৩ জুন ২০১৫

আমার নাম বাবলি। আমি থাকতাম ঢাকুরিয়া বাবুবাগান রেলকলোনিতে। আমি দশ ভাই বোনদের মধ্যে ছোটো। আমার বাবা আমার যখন দু-বছর বয়স তখন আমাদের ছেড়ে চলে যায়। আমার মা আমাদের মানুষ করে অনেক কষ্ট করে। তারপর আমি যখন বড়ো হলাম, তখন আমার বয়স তেরো বছর। তখন আমার মা মারা যায় যায়। তারপর থেকে আমি কারোর কাছে ভালোবাসা পাইনি। কেন না, তখন দাদার বিয়ে হয়ে গেছে। দাদা বউদিরা কেউ আমাকে ভালো বাসতো না। আমার খুব কষ্ট হতো। আদ্ধেক দিন আমি খেতে পেতাম না। তারপর আমি আমাদের পাশে একটা বাড়ির কাজ করতাম। তারপর আমি আমার নিজের জামা কাপড় কিনে পড়তাম।
এই দেখতে দেখতে আমার পাঁচ বছর কেটে গেল। তখন আমি একজনকে ভালোবাসলাম। তার নাম রাজু। তাকে আমি দু-বছর ভালোবাসলাম। তারপর আমি ওকে আমার সব কথা বললাম। বলার পর ও আমাকে বলে, আমি তোমাকে বিয়ে করবো। আমি তখন ওকে বললাম যে তোমার মা-বাবা সব আছে। তুমি তোমার মা-বাবাকে গিয়ে আমার কথা বলো। ওরা তোমাকে কি বলে তুমি শোনো। ওর মা বাবা রাজি হলো না। কেন না ও বাড়ির বড়ো ছেলে বলে ওর মা বাবা বললো, তুই আমাদের বড়ো ছেলে, আমরা তোকে দেখে শুনে বিয়ে দেব। ও রাজি হলো না। ও বললো, আমি যদি বিয়ে করি, তাহলে ওই মেয়ে বিয়ে করবো কেন না ওর কেউ নেই। তাই আমি ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। এই বলে সে আমায় বললো যে আমরা কালীঘাটে গিয়ে বিয়ে করবো। তখন আমাদের সব ঠিক হলো। ও তখন একটা বাড়ি ভাড়া করলো যে আমরা বিয়ে করে ওই খানে থাকবো। তার পরদিন আমাদের বিয়ে। ওর ভাই-রা সব ওর বন্ধুর মতো। ওর ভাইরা ওকে বললো, কখন যাবি বিয়ে করতে। ও বললো, আমি সন্ধ্যের সময় যাবো। তোরা কি যাবি? ওরা বললো, হ্যাঁ যাবো। দাদার বিয়ে বলে কথা। মা বাবা যায়নি বলে আমরা কি যাব না? এদিকে তো নেই আমার তো কেউ নেই, আমার সাথে ধারে শুধু আমার দুই বন্ধু ছিল, যাদের নাম ছিল ঝর্ণা আর সোমা। এইদিকে আমাদের সব ঠিক হলো। কিন্তু হঠাৎ ওর মা ওকে বলে, কি রে তুই নাকি বিয়ে করতে যাবি? ও বললো, হ্যাঁ তুমি তো আমাদের বিয়েতে রাজি হওনি। তাই আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি। তখন ওর মা বলে, শোন, আমি কি বলি, তোদের কালীঘাটে বিয়ে করতে হবে না। আমি তোর মাসি বাড়ি গিয়ে তোদের বিয়ে দেব, কেন না, তুই আমাদের বড়ো ছেলে, তাই এর জন্য আমরা রাজি হইনি। তারপর আমাদের মাসি বাড়িতে গিয়ে আমাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক মাস আমাদের খুব ভালো কাটছিল। তারপর থেকে ওর মা আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো। তাতে আমি খারাপ ভাবতাম না। আমি ভাবতাম যে আমার মা বলছে। কিন্তু ওরা সেটা ভাবতো না। ওর মা বোন ভাই কেউ আমাকে ভালোবাসতো না। তারপর দিনের পর দিন এইভাবে কেটে যায়। তারপর এক বছর পর আমার একটা মেয়ে হলো। তারপর আমাকে সবাই ভালোবাসতে লাগলো। এইভাবে আমার দিন কাটতে লাগলো। আমি তাতে খুব খুশি হলাম। এইভাবে আমার চোদ্দ বছর কেটে গেল। আমি বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু এখন আমার শ্বাশুড়ি আমার ননদ কেউ আমায় দেখতে পারে না। কেউ আমার সাথে কথা বলে না। আমার স্বামী বলেছে, কেউ না বলুক আমি তোমাকে ভালোবাসি। কারোর ভালোবাসতে হবে না। আমরা আমাদের মতো সুখে আছি।

babli-wr-web

মানবাধিকার আটপৌরে, ঢাকুরিয়া, নিজেদের কলমে, বস্তি, রেলকলোনি

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in