• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

ঠাকুরের আরতির পাখা তৈরি করেন মগরাহাটের আব্বাসউদ্দিন গাজি

October 17, 2014 admin Leave a Comment

সঞ্জয় ঘোষ, জয়নগর মজিলপুর, ১৬ অক্টোবর#

আব্বাসউদ্দিন গাজির ছবি তুলেছেন সঞ্জয় ঘোষ।
আব্বাসউদ্দিন গাজির ছবি তুলেছেন সঞ্জয় ঘোষ।

জয়নগর মজিলপুর জেএম ট্রেনিং স্কুলের মাঠের পাশে আমার ছোটো ভাইয়ের মতো বন্ধু বটে জয়ন্ত হালদারের ছবি বাঁধানোর দোকানে বসেছিলাম বাজার সেরে। সকাল তখন প্রায় ১১টা। পাশে পবনের চা, পেটা পরোটার দোকানে চায়ের অর্ডার দিয়ে হাতের জিনিসগুলো মাটিতে রেখে উঁকি দিলেন জয়ন্তর দোকানে, ময়লা লুঙ্গি আর শার্ট পরা এক জন মানুষ যার গলা থেকে ঝুলছে ময়ুরের পেখম থেকে তৈরি সুদৃশ্য একজোড়া কিছু। জয়ন্তই বলল, এগুলো ময়ুরের পেখম থেকে তৈরি? ওই মানুষটি বললেন, হ্যাঁ, এগুলো ঠাকুরের আরতি করার সময় হাওয়া করার পাখা। দাম ৭০-৮০ টাকা। শুনে আমি একটু নড়ে চড়ে বসলাম।
ওই মানুষটির থেকে জানা গেলো, ওনার বাড়ি মগরাহাট থানার ডিহি কলস গ্রামের শুড়িপুকুর গাজি পাড়ায়। নাম মহম্মদ আব্বাসউদ্দিন গাজি (৪৮-৫০)। নাইলন, প্লাস্টিক ও পাটের তৈরি ঝুলঝাড়ু, খেজুর পাতা, নাইলন, প্লাস্টিকের তৈরি ফুলঝাড়ু, মোরগের পালকের আর ময়ুরের পেখমের তৈরি ঝাড়ন এইসব নানা জিনিসের পসরা নিয়ে আব্বাসউদ্দিন যান সাগর, নামখানা, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ — বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরি করতে। আজ এসেছেন জয়নগর মজিলপুরে। জানা গেলো, পাঁচ বছর হলো, নাইলনের আর পাঁচ-ছয় বছর হলো প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে। পাটের ঝুলঝাড়ু পাঁচ বছর আগের তুলনায় চারভাগের তিনভাগ কমে গেছে। তবে প্যারিস করা বাড়িতে কিন্তু পাটের ঝুলঝাড়ু ব্যবহার হয়। না হলে ঘরের রং নষ্ট হয়ে যাবে। পাটের ঝুলঝাড়ু ৩৫ টাকা দাম। নাইলনের ৪৫, ৬৫ আর ১০০ টাকা। নাইলনের গুলো টেঁকে বেশিদিন।
স্ত্রী তিন ছেলে আর দুই মেয়ে নিয়ে ৭ জনের সংসার তাঁর। এইসব তৈরি করতে স্ত্রী নাসিমা বিবি (৩৫-৪০) বাড়িতে আব্বাসউদ্দিনকে সাহায্য করেন। বড়ো ছেলে সাবির আলি গাজি (১৯-২০) বিএ ইংলিশ অনার্স নিয়ে মগরাহাট কলেজে ছয় মাস পড়ার পর টাকার অভাবে পড়া ছেড়ে দিয়ে দর্জির কাজ শিখছে। শামিম (১৭) এগারো ক্লাসে পড়ছে। বড়ো মেয়ে আট ক্লাস আর ছোটো মেয়ে চার ক্লাসে পড়ছে। মাসে গড়ে আব্বাসউদ্দিনের ওইসব বিক্রি করে ৪-৫ হাজার টাকা আয় হয়। আর কি করেন আব্বাসউদ্দিন? উত্তরে বললেন, আষাঢ় শ্রাবণ ও ভাদ্রের শেষ পর্যন্ত ধান রোয়ার কাজ করেন আবার মাঘ ফাল্গুনে ধান তোলার কাজ-ও করেন। মজুরি পান ২০০-২২০ টাকা দিনে।

শিল্প ও বাণিজ্য আরতি, পুজো, ফুলঝাড়ু, মগরাহাট, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, হিন্দু-মুসলমান ঐক্য

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in