• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

জয়ন্তী পাহাড়ে ডিনামাইট ব্লাস্টিং হলে কোচবিহার শহরটা কেঁপে ওঠে

September 23, 2013 admin Leave a Comment

সম্প্রতি দিনহাটা ও কোচবিহারে কয়েকটি সভায় উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বন্যা ও ধস নিয়ে কিছু আলোচনা হয়। একটি আলোচনায় শ্রোতারা আলোচকের সঙ্গে নিজেদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলিকে বিনিময় করেন। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বড়ো জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ডিনামাইট ব্লাস্টিং করে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে, নদীর স্বাভাবিক গতিপথকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আজ যখন বিপর্যয় এল, তখন প্রকৃতি যেন সেই অত্যাচারের প্রতিশোধ নিল! নদী আবার তার স্বাভাবিক প্রবাহে ফিরে এল। মন্দাকিনী নদীর ক্ষেত্রে কেদারঘাটিতে এটাই ঘটেছে। এই বিবরণ শুনতে শুনতে একজন মহিলা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বলে ওঠেন, ‘জয়ন্তী পাহাড়ে ডিনামাইট ব্লাস্টিং হলে কোচবিহার শহরটা কেঁপে ওঠে’।
জয়ন্তী পাহাড় কোচবিহার শহর থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটারের বেশি দূরে। ভাবতেও শিউরে উঠি। ওই মন্তব্য শুনে আর একজন শ্রোতা স্বগতোক্তি করেন, ‘আসলে আমরা তেমন গা করি না। একটা বড়ো ট্রাক রাস্তার ওপর দিয়ে গেলেও তো চারপাশ কাঁপে। কখন কী জন্য কম্পন হয়, কে অত খবর রাখে!’ কিন্তু এই প্রত্যেকটা কাঁপন অগোচরে আমাদের ভিটে-মাটি, পথঘাট সবকিছুকেই নড়বড়ে করে দেয়। উত্তরাখণ্ডের মেখণ্ডা গ্রামের ঘরে ঘরে দেওয়ালে ফাটল ধরে। তবু মানুষ সাবধান হয় না। আরও বড়ো বিপর্যয়ের জন্য সে যেন অপেক্ষা করে বসে থাকে।
আলোচনায় মগ্ন হয়ে প্রত্যেকের মনে নানান প্রশ্ন জেগে ওঠে। তাদের সামনে ভেসে ওঠে উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীর ছবি। সেই নদীর বুকে বাঁধ আর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তাণ্ডবের ছবি! একদিকে আসন্ন বিপন্নতার ছবি, অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি (বা এনার্জি) নির্ভর আধুনিক জীবনের হাতছানি। কোনটাকে সে উপেক্ষা করে? সভায় কলেজের ছাত্র যারা এসেছিল, তারা তো সেই আধুনিক জীবনের পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়ার জন্যই লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে! সে তো ছোটোবেলা থেকে শিখে এসেছে, ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে’। ফলে পাহাড়, জলবিদ্যুৎ থেকে সরে আলোচনাটা চলে যায় বিদ্যুতের প্রয়োজন কতখানি সেই প্রশ্নে। এসে যায় মানুষের প্রয়োজন ও অপচয়ের প্রশ্ন; প্রয়োজন ও লোভের প্রশ্ন।
জয়ন্তী পাহাড়ে ডিনামাইট ব্লাস্টিং হলে কোচবিহার শহরটা কেঁপে ওঠে। সেই কম্পনের অনুরণন যেন সভার মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। সকলেই যেন বুঝতে পারি, পায়ের নিচে শক্ত মাটিটা কত প্রয়োজনীয়।

সম্পাদকীয় জলবিদ্যুৎ, তিস্তা

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in