• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

‘চাষে লাভ নেই’ শীর্ষক আলোচনা চাকদহ বিজ্ঞান সংস্থার উদ্যোগে

July 16, 2013 admin Leave a Comment

শমীক সরকার, চাকদহ, ১৪ জুলাই#

ছবিটি অনুষ্ঠানের আয়োজক চাকদা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সংগঠক বিবর্তন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পেজ-এ পাওয়া।
ছবিটি অনুষ্ঠানের আয়োজক চাকদা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সংগঠক বিবর্তন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পেজ-এ পাওয়া।

নদীয়া জেলার চাকদা-র তাঁতরা ১ নং এর বাসিন্দা যুবক সুপ্রিয় সিংহ রায় প্রায় ককিয়ে উঠে বললেন, এবার আমাদের এলাকায় কত যে ‘রাউন্ড আপ’ ব্যবহার হয়েছে ঘাস মারার জন্য, তার ঠিক নেই। রাউন্ড আপ একটা মারাত্মক ওষুধ। নিড়ানির জন্য লোক না লাগিয়ে, নিজেরাও নিড়ানি না দিয়ে চাষিরা এই কীটনাশকটি দিয়ে এক লহমায় ঘাস মেরে ফেলছে। অথচ এই ওষুধটির জমি, ফসল এসবকিছুর ওপর প্রভাবই সুদূরপ্রসারী। সুপ্রিয় আরও জানালেন, তাদের গ্রামে মোট তিরিশ বিঘে জমিতে এবার জৈব পদ্ধতিতে দেশি ধানের চাষ হয়েছে। তিনি নিজে দশ বিঘে জমিতে লাগিয়েছেন কালোমুনিয়া, চাউলমনি, রাধাতিলক। যারা চায় জৈব পদ্ধতিতে চষা দেশি ধানের চাল খেতে, তারা সরাসরি সেখান থেকে কিনতে পারে। দাম একটু বেশি, ৬০ টাকা কেজি।
‘চাষে লাভ নেই’ শীর্ষক একটি আলোচনায় ছাত্রছাত্রী, বিজ্ঞানকর্মী এবং চাষীদের সাথে কথোপকথনের ঢঙে আলোচনা হচ্ছিল সার বিষ দিয়ে করা বাণিজ্যিক চাষ করে ডুবতে বসা চাষিসমাজকে নিয়ে। আলোচনা করছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী অনুপম পাল। ১৪ জুলাই বিকেলে চাকদহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে চাকদা-র পুরাতন বাজারে ঘুগিয়া ভুবনমোহিনী উচ্চবিদ্যালয়ে এই আলোচনায় উঠে এল গ্রাম বাংলার মানুষের নিজেদের গ্রাম, নিজেদের বীজ বৈচিত্র্য, নিজেদের মাটির প্রতি অবহেলার কথা। অনুপমবাবু বারবার এখনকার শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন, যা আমাদের নিজেদের ঐতিহ্যকে ভুলিয়ে দিয়ে কেবল বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতে শেখায়। তিনি নিজেদের বীজ-বৈচিত্র্যকে রক্ষা করার ডাক দিলেন। আর যারা চাষি নয়, তারাও নিজেদের বাড়িতে একটু খোলা জায়গায় সব্জি ফলাতে পারে। উপহার দিতে পারে গাছ। চাষের সঙ্কটমোচনে যথাসম্ভব স্থানীয় খাবার খাওয়ার কথাও উঠে এল। কথায় কথায় উঠল কিউবার খাদ্য স্বনির্ভরতার কথা। চাষিরা তো স্বরোজগেরে। প্রশ্ন উঠল, স্বরোজগারের বদলে চাকরির দিকে ঝোঁক কি বিবেচকের কাজ?
সভায় উপস্থিত এক কিশোর চাষি প্রশ্ন করল, দেশজ ধান কেরালাসুন্দরী চাষ করতে গিয়ে যদি মাজরা পোকা হয়, তাহলে আমি কি করব? উত্তরে অনুপমবাবু বললেন, ২-৩ বছর সময় লাগবে। রাসায়নিক সার বিষ দেওয়া কমিয়ে জৈব সার বিষ বাড়িয়ে বাড়িয়ে যেতে হবে। আস্তে আস্তে মাটির জৈব সত্ত্বা ফিরে এলে তারপর আর পোকা লাগবে না। ধৈর্যের প্রয়োজন।

কৃষি ও গ্রাম কীটনাশক, জৈব চাষ, দেশি ধান, সার

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in