• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

কলেজের ইউনিয়ন নির্বাচন ঘিরে পাহাড়পুর রোডে ব্যাপক সংঘর্ষ

February 16, 2013 admin Leave a Comment

১২ ফেব্রুয়ারি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রী, পাহাড়পুর রোড, মেটিয়াব্রুজ#

আমি হরিমোহন ঘোষ কলেজের ফার্স্ট ইয়ার পাশকোর্সে পড়ি। আগে আমাদের কলেজে এসএফআই ইউনিয়ন ছিল। আমি তখন কলেজে ভর্তি হইনি, দিদি পড়ত। এখন টিএমসিপি ইউনিয়ন। আসলে আমাদের কলেজের জিএস সঞ্জয়দা আগে এসএফআই করত, ‘পরিবর্তন’ হওয়ার পর টিএমসিপি হয়ে যায়। ও হিন্দিভাষী। তবে উর্দুভাষী ছেলেমেয়েই কলেজে বেশি। কলেজে সবচেয়ে বেশি জোর সিপি-র। কারণটা বলি। ওই যে মোক্তার বলে একজন আছে না, ও আগে সিপিএম ছিল, ‘পরিবর্তন’ এল তো কংগ্রেস হয়ে গেল। মানে কলেজে কংগ্রেসের (সিপি) সাপোর্টার বেশি।
আমাদের কলেজের টিএমসিপি-র লিডার হল ছোটুদা, মানে অভিজিৎ শীল। ও হল আমাদের এখানকার টিএমসি কাউন্সিলার রঞ্জিৎ শীলের ছেলে। ছোটুদা কলেজে পড়ে না। বাইরে থেকে লিডারি করে। এই তো তিন-চার মাস আগে ওকে এমন মেরেছিল সিপির ছেলেরা! সাপ্লি পরীক্ষার ফর্ম দিচ্ছিল, কী একটা গণ্ডগোল হল। ছোটুদাকে খুব মেরেছিল কংগ্রেসের ছেলেরা। আসলে কলেজে বাইরে থেকে প্রচুর ছেলে আসে। তারা কলেজে পড়ে না। খিদিরপুর কলেজ, মেটিয়াব্রুজ কলেজ সব জায়গা থেকে ছেলে আসে। কে কাকে কী বলবে? শুধু পরীক্ষার সময় বোঝা যায় কে কলেজে পড়ে।
একটা ঘটনা বলি, আমি যখন প্রথম প্রথম কলেজে গেছি, ওপরের ঘরে সিপির একটা ছেলে একটা মেয়ের সঙ্গে গল্প করছিল। ওখানে আমাদের হিস্ট্রির টিচার এসএস ম্যাম গেছেন। উনি বললেন ছেলেটাকে, ‘তুমি এখানে কী করতে এসেছ?  যাও, আমি ক্লাস নেব।’ ছেলেটা বলল, ‘না যাব না।’ ম্যাম বললেন, ‘কী করতে কলেজে আসো?’ ছেলেটা জবাব দিল, ‘আপনি কী করতে কলেজে আসেন। আপনি যান, আমি এখানেই থাকব।’ এইরকম ওদের ক্ষমতা!
আজকে তো ইউনিয়ন ইলেকশনের নমিনেশন ফর্ম দেওয়ার কথা ছিল। টিচাররা ফর্ম দেয়। সিপির তিনটে ছেলে ফর্ম তুলে নিয়েছিল। সেটা জানাজানি হয়ে যায়। টিএমসিপিও প্রচুর ফর্ম তুলেছে। কিন্তু ওরা ঠিক করেছিল কলেজে সিপির ছেলেদের ফর্ম তুলতে দেবে না। এসএফআইয়ের ছেলেরা তো সব টিএমসিপি হয়ে গেছে, তাদের কেউ ছিল না। ওই তিনটে ছেলে কমনরুমে ঢুকে ফর্ম তিনটে অন্যদের হাতে পাচার করে দিয়েছে। তারপর টিএমসিপির ছেলেরা ওদের ধরে সার্চ করে, দেখে ওদের ব্যাগে ফর্ম নেই। এরপর তো গণ্ডগোলটা হল।
এর আগে ছোটুদা আমাদের বলেছিল, যারা ফিজ দেয়নি, তাদের ফিজের টাকা ক্লিয়ার করে দেবে টিএমসিপি, যাতে তারা নমিনেশন ফর্ম তুলতে পারে। ফিজ বুক আর আই কার্ড দেখে ফর্ম নিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল।
ক-দিন ধরেই বোমের আওয়াজ পাচ্ছিলাম। গতকাল রাত দুটো নাগাদ কলেজের উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ে বোম বার্স্ট করে। স্টেট ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে একটা নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সেই বাড়ির ফ্ল্যাটে ওরা বোমা বাঁধছিল। ছোটুদার বেশ অনেকটা পুড়ে যায়, ওকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাপু বলে একটা ছেলের হাত উড়ে গেছে। তারপর আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পাহাড়পুর রোডে বিরাট গণ্ডগোল হল। ওখানে কলেজের ছাত্র মনে হয় ছিল না। পুলিশের একজন মারা গেল গুলি খেয়ে। মোক্তারের দুটো ছেলেকে ধরেছে বলে কংগ্রেস থেকে মেটিয়াব্রুজ থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করেছিল। এইসব ছেলেরা কেউই কলেজে পড়ে না।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ইউনিয়ন নির্বাচন, কলেজ, মেটিয়াব্রুজ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in