• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

করোনা মেরেছে। এখন মারছে ওপরওয়ালা

July 17, 2020 admin Leave a Comment

শমিত। শান্তিপুর। ১৭ জুলাই, ২০২০। #

তাঁতশিল্পে কাপড় বোনা ছাড়াও আনুষঙ্গিক অনেকরকম কাজে জড়িয়ে থাকেন অনেকেই। কেউ নলি পাকান, কেউ ড্রাম হাটেন, কেউ সানা বোয়া করেন। এখন কাপড় মাজার কাজে জড়িয়ে আছেন ব্লকের বিরাট সংখ্যক মানুষ। একই পরিবারের পুরুষ-মহিলা সকলে মিলে এই সমস্ত কাজে জড়িয়ে থাকেন। তাঁতে বোনা আলো কাপড় মহাজনের কাছ থেকে নিয়ে তাতে মাড় দিয়ে টঙ্ক করা হয়। তারপর আয়রন ও ভাঁজাই হয় তাঁত কাপড়। এই মাজার কাজে বা মাড় দেওয়ার কাজে জড়িত এক শ্রমিক অসিত হালদারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অসিত জানালেন, এতদিন করোনা মারছিল, লকডাউনে হাতে কাজ ছিলনা; এখন মারছে ওপরওয়ালা। এত বৃষ্টিতে কাজের খুবই বিঘ্ন ঘটছে। হাতে যা’ও বা কাজ এসেছে, কিন্তু বৃষ্টির জন্য তা করা যাচ্ছেনা। টানা ঠিকঠাক রোদ না হলে কাপড় মাড়ের খুবই অসুবিধা হয় জানালেন অসিত। মহাজনের ঘরে জমে থাকা আলো কাপড় মাড়-এর কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। কাজ পাওয়া যাচ্ছে; কিন্তু বাদ সাধছে আকাশ। অসিতের কাছে জানা গেল সারা বছরই মাড় দেওয়ার কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষাকালে খুবই অসুবিধা হয়।

মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নীচে শান্তিপুরের বেজপাড়ার মাঠে সার সার পড়ে আছে মাড়-কাপড় টাঙানোর শ’তিনেক টাট্টু। এরই মধ্যে শ্রমিকরা বারবার কাপড়ে ডাঙি পড়াচ্ছেন আর বৃষ্টি নামলেই কাপড় গুটিয়ে দৌড় লাগাচ্ছেন।

অন্যান্য বছর এ সময়টা পুষিয়ে যায়। কিন্তু এবছর দু’তিন মাস লকডাউনে কাজ না হওয়াতে খুবই টানাটানি চলছিল। কাজ ছিল না। যা’ও বা কাজ পাচ্ছি তা তুলতে পারছিনা। একটা কাপড় মাজলে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা এমনকি ৩০ টাকাও পাওয়া যায়। সাদা শাড়িতে মজুরি কম। রঙিন শাড়িতে মজুরি বেশি পাওয়া যায়। অসিতের মত হাজার হাজার শ্রমিক আবার কাজে লেগেছে পুরোদমে। লকডাউনের সময় আমের মরশুম হওয়াতে কয়েকটা আমগাছ জমা নিয়েছিলেন অসিতরা। তিনজন মিলে ৪,২০০ টাকায় শেয়ারে জমা নেওয়া আমের ব্যবসা করে এক এক জনের ভাগে ১,২০০ টাকা করে লাভ হয়। মোট ৭ টা গাছ জমা নেন অসিতরা। কিন্তু আমফান ঝড় এসে এবছরে আমের খুব ক্ষতি করে। না হলে ভালো লাভ থাকত বলে জানালেন অসিত। কাঁচা আম আড়ৎদারদের বিক্রি করে দেওয়ায় লাভটা বেশ কমে যায়। আড়তে মাল দিয়ে দেওয়াতে লাভ কিছু কম হলেও ঝুঁকি কিছু কম থেকেছে। না হলে লোকসান বেশি হত, পরিশ্রম জলে যেত বলে জানালেন অসিত। এখন কাপড় মাজা’র কাজটা শুরু হয়েছে। কাজও কিছু কিছু পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাই এই আকালে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আক্ষেপ অসিতদের।

Uncategorized আমফান, আমের ক্ষতি, করোনা, কাপড় মাজা, তাঁতশ্রমিক, বর্ষা, লকডাউন

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in