• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

করোনার ফেরে শঙ্করদা এখন মশলা আর লটারি টিকিটের ফেরিওলা

July 13, 2020 admin Leave a Comment

কাজ হারানো মানুষের পেশা বদলের স্কেচ আঁকছেন সুমিত

সুমিত দাস। শান্তিপুর। ১৩ জুলাই ২০২০।#

শিয়ালদহ স্টেশনের জনসমুদ্রের মাঝখান থেকে হঠাৎ প্রবর্তক সেনের হাত চেপে ধরেন শঙ্করদা। দাদা আজ কিন্তু লাষ্ট কম্পার্টমেন্টে আমার সাথে উঠতে হবে। নাছোড় শঙ্করের আবদারে প্রবর্তক সেনকে উঠতেই হয় শঙ্করের সাথে। কলকাতায় পাটের কোম্পানিতে কাজ করে শঙ্কর, মাস মাইনে খুব বেশি নয়। বাড়িতে অসুস্থ মা, স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে দিন গুলো মোটামুটি ভাবে কেটে যায়। সদাহাস্যময় শঙ্করদা চেঁচিয়ে ঝালমুড়িওয়ালাকে ডাকলেন। প্রবর্তকদা এই ঝালমুড়িটা একবার খেয়ে দেখুন, জিভের জল ধরে রাখতে পারবেন না। এই এক বাতিক শঙ্করের, কামরায় যা’ই উঠবে ডেকে ঠিক খাওয়াবে। নিজের মুখেই বলে, দিনে আমার হাত খরচা একশো টাকা। ভোর পাঁচটা পঞ্চাশের ট্রেনে কলকাতায় গিয়ে ঐ খাটুনির পর সাতটা পঞ্চাশের ট্রেনে বাড়ী ফেরা। তারপরও কিভাবে একটা মানুষ এতটা হাসি ধরে রাখতে পারে কে জানে- ভাবতে থাকেন প্রবর্তক। এভাবেই পাঁচটা পঞ্চাশ, সাতটা পঞ্চাশের আপ ডাউনে কাটতে থাকে আমাদের দেশের অনেক শঙ্করের জীবন। কিছু দিন ধরে ট্রেন কামরার ইতিউতি করোনা না কি একটা রোগের নাম  শঙ্করের কানে আসছিল। তেমন পাত্তা দেয়নি সে। তবে ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শঙ্কর বুঝতে চেষ্টা করে ব্যাপারটা কী। ২২ মার্চ সারাদেশে জনতা কার্ফু। করোনার চেন ভাঙতে হবে। রাত্রে আলো নেভাতে হবে। থালা বাসন শঙ্খ বাজিয়ে করোনার আপদ বিদেয় করতে হবে। শঙ্কর অবশ্য এসব কিছুই করেনি। ঘরে অসুস্থ মায়ের পাশে বসে শুনেছে পাশের বাড়ির বাবুরা ছাদে উঠে মোমবাতি জ্বালিয়ে গান গাইছেন ‘উই শ্যাল ওভারকাম’। মার্চ গড়িয়ে এপ্রিল, এপ্রিল গড়িয়ে জুন এসে পড়েছে। বাস, ট্রেন সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। শঙ্কর দা এখন বাড়ী বাড়ী রান্নার মশলা বিক্রি করেন। লকডাউনের বাজারে আমিও বেকার। সকাল বিকাল উদয়দার দোকানে বসে বুড়োদা পলানদার সাথে আড্ডা দিই। শঙ্করদা এসে দাঁড়ায়। খবর নেয় সবার। আমরাও ওর খবর নিই। শঙ্করদা বলতে থাকেন ‘মার শরীর টা খুব খারাপ। লকডাউনে একদিনে সর্বোচ্চ লাভ নব্বই টাকা। কি হয় এ টাকায় বুড়ো বাবু?’ এর মধ্যে সরকারি বাস চললে কলকাতায় গিয়েছিলো শঙ্করদা। কোম্পানি থেকে স্ট্রেট জানিয়ে দিয়েছে এখন আসার দরকার নেই। আর যদি কাজ করতে চান তো কলকাতায় থেকে কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন কে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বুড়োদার কাছে শুনলাম শঙ্করদা মশলার পাশাপাশি লটারি বিক্রির কাজও শুরু করেছে। লকডাউনে একদিনে সর্বোচ্চ ইনকাম ২৯০ টাকা।

শঙ্করদা প্রশ্ন করেন- এভাবে কি কোন মানুষের সংসার চলতে পারে বুড়ো বাবু? পাশ থেকে একজন বলে ওঠে- ‘আজ তো ২৯০ হয়েছে, তুমিও মোমবাতি জ্বালিয়ে ছাদে গিয়ে উই শ্যাল ওভার কাম শুরু করে দাও’।

শঙ্করদা খানিক থমকে যায়। সদাহাস্য মানুষটার মুখ থেকে হাসিটা চলে গিয়ে চোয়াল দুটো শক্ত হয়ে যায়। শঙ্করদা বলে- ‘আগে তো জানতে হবে কাকে জয় করতে চাইছি?’

Uncategorized করোনা, জনতা কার্ফু, পেশা বদল

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in