• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

অভিবাসন নিয়ে চারুচেতনার নাটক ‘বহুব্রীহি’

November 17, 2013 admin Leave a Comment

তমাল ভৌমিক, কলকাতা, ১০ নভেম্বর#

চারুচেতনার 'বহুব্রীহি' নাটকের একটি দৃশ্য ছবি জিতেন নন্দীর তোলা। ১৩ নভেম্বর।
চারুচেতনার ‘বহুব্রীহি’ নাটকের একটি দৃশ্য ছবি জিতেন নন্দীর তোলা। ১০ নভেম্বর।

কসবার নিম্নবিত্ত এলাকার শিশু কিশোরদের সংগঠিত করে চারুচেতনা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় দুই দশক। চারুচেতনার বার্ষিক উৎসব হল ১০ নভেম্বর ২০১৩ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন ভবনে। শুরুতে শিল্পকলা নিয়ে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণের পরে প্রথমে হল রবীন্দ্রনাথের নটীর পূজা-র বাছাই অংশ। বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর নাচ গান অভিনয় বেশ ভালো।
পরের নাটকের নাম ‘বহুব্রীহি’। সুকান্তর ‘হে সূর্য শীতের সূর্য …’ কবিতাটি দিয়ে শুরু করে, মধ্যে জীবনানন্দর কবিতা ও শেষে সুধীন্দ্রনাথ দত্তর ‘উটপাখি’-র কয়েক লাইন, আর বেশিটাই রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’র কিছু অংশ — এই দিয়ে একটা কোলাজ তৈরি করেছেন নবেন্দু সেনগুপ্ত, নাটক পরিচালনা করেছেন সুশান্ত দাস। নাটকে একটা ধাতব মইকে ব্যবহার করা হয়েছে মঞ্চসজ্জার প্রায় একমাত্র উপকরণ হিসেবে। নাটকের মাঝখানে পর্দায় প্রোজেক্টরের সাহায্যে জলছবির ব্যবহার — তাতে গঙ্গার তীর, ব্যস্ত কলকাতার নানা টুকরো ছবি ও বস্তিবাসী শিশুদের ছবি আঁকা, খেলাধূলো করার দৃশ্যের পেছনে আবহসঙ্গীতের নানা যন্ত্রে রাগরাগিনীর টুকরো। নাটকটাতে ‘মাইগ্রেশন’ অর্থাৎ কাজের জন্য গ্রামের লোকের শহরে চলে আসা, আবার শহরের বৈভব ও বিত্তর নির্মম ধাক্কায় শহর থেকে ছিটকে গিয়ে মানুষের হারিয়ে যাওয়া — এই বিষয়টাকেই ধরতে চাওয়া হয়েছে।
কেমন হয়েছে নাটকটা — এই প্রসঙ্গে তিনজন দর্শকের প্রতিক্রিয়া বলছি। এক যুবক হলের ভেতরেই নাটক চলাকালীন চেঁচিয়ে বলেছেন, ‘ওরে বোর হয়ে যাচ্ছে’। আমার পাশে বসা এক মহিলা বলেছেন, ‘নাটকটা ট্যান হয়ে গেছে’ — মানে বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। নাটকের শেষে একজন প্রৌঢ় প্রৌঢ়াকে জোর গলায় বলেছেন, ‘বেশ বলিষ্ঠ প্রযোজনা বলো’। প্রৌঢ়া মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বলছেন।
আমার নিজের কাছে নাটকের মধ্যে রক্তকরবীর অংশটা খুব ভালো লেগেছে। নটীর পূজার যে মেয়েটি নটীর অভিনয় করেছিল, সে এই নাটকে রক্তকরবীর ‘নন্দিনী’র অভিনয় করেছে সাবলীলভাবে। বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে, ফাগুলাল, চন্দ্রা ও বিশুপাগলার ভূমিকায় যারা অভিনয় করেছে। এই নাটকটার শারীরিক অভিনয় এক বড়ো সম্পদ। তবে সবচেয়ে বড়ো পাওনা হল, ‘বস্তির ছেলে-মেয়ে’ বলে যাদেরকে আমরা একটু দূরে সরিয়ে রাখি, তাদের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতির সম্ভাবনা খুঁজে বার করতে পারার এই উদ্যোগ।

সংস্কৃতি অভিবাসন, চারুচেতনা, নাটক

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in