সীতারাম, রাঁচি, ২৭ জুলাই##
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি শহরের লাগোয়া গ্রাম নাগরি এখন সেই রাজ্যের খবরের শিরোনামে। সরকার সেখানে ২২৭ একর জমিতে আইআইটি, আইআইএম প্রভৃতি করবে বলে পাঁচিল তুলছে। সরকারের যুক্তি, এই জমি ১৯৫৭ সালে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল রাজেন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়, পরে বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য। কিন্তু জমির রায়তদের বক্তব্য, জমি অধিগ্রহণ তখন সম্পূর্ণ করা হয়নি। ২৫ জন ক্ষতিপূরণ নিয়েছিল, আর বাকি ১২৮ জন বিরোধিতা করেছিল। পরে আরও ১৪ জন ক্ষতিপূরণ নিয়েছে।
এই ঘটনার সাথে সাথেই রাঁচি শহর জুড়ে শোরগোল উঠেছে, সরকার রাঁচি শহরকে বাড়ানোর জন্য আশেপাশের ৩৫টি গ্রাম গ্রাস করবে।
নাগরি গ্রামে পাঁচিল তৈরি শুরু হলে কর্পোরেট মিত্তলদের জমি অধিগ্রহণ বিরোধী সফল লড়াইয়ের নেত্রী দয়ামণি বাড়লা এবং নির্দল বিধায়ক বন্ধু তিরকি নাগরিতে অবস্থানে বসে যান। সরকার পাঁচিল তুলতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী নামায়। কিন্তু অবস্থানস্থল বিভিন্ন মানুষ ও রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে। এমনকী শাসক দলের নেতা শিবু সোরেন, শাসক দলের সহযোগী বিজেপিও অবস্থানকে সংহতি জানায়।
একদিন মানুষ পাঁচিলের একাংশ ভেঙে দেয়। কিছু লোক গ্রেপ্তার হয়। ২৫ জুলাই ধর্মঘট হয় ঝাড়খণ্ড জুড়ে, যার ব্যাপক সাড়া পড়ে রাঁচিতে।
Leave a Reply