- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার

লাঁভোলি(l’envolée) পত্রিকা ও বেতারকেন্দ্রের তরফে বন্দীর সাথে কথোপকথনের অনুলিখন পাঠিয়েছেন আর্থার সেস্যু। ২৮ জানুয়ারি, ২০২১।#
প্রতি শুক্রবার সন্ধে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা, RFPP ১০৬.৩ এফ. এম. তরঙ্গে বন্দী অভিবাসীদের রুদ্ধস্বর সরাসরি সম্প্রচারিত হয় লাঁভোলি নামের বেতার অনুষ্ঠানে। প্রতিবেদনের মূল সংলাপটি শুনতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ফ্রান্স তথা ইউরোপে বৈধ ভিসা ছাড়া কোনো বিদেশিকে নথিভুক্ত নয় বলে খালাস করে দেয় রাষ্ট্র ও তার প্রশাসন। তারা না পায় কাজ, না সামাজিক সুরক্ষা, এমনকি ঘরোয়া বাজারে কেনাকাটা করার অধিকারটুকু। বাসে-ট্রেনে-কাজের জায়গায় এমনকি ভিসা আবেদনের লাইন থেকে যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করে শরণার্থী শিবিরে ঢোকানো কিম্বা জোর করে সীমানার বাইরে ফেরৎ পাঠানো চলতেই থাকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সীমান্তরক্ষীদের প্রথম লক্ষ্য থাকে অ-সাদা মানুষরা। ফি-বছর চল্লিশ হাজার এমন মানুষ গ্রেফতার হন যার অর্ধেককে ফেরৎ পাঠানো হয়। শরণার্থী শিবিরগুলিতে ক্যামেরা ও মিডিয়ার আড়ালে পুলিশি অত্যাচারই দস্তুর। এমনই এক শরণার্থী শিবিরের মহিলারা আমাদের বেতারকেন্দ্রে তাদের অভিযোগের কথা জানাতে যোগাযোগ করেন। ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় এই বেতারকেন্দ্রটি জেলখানা, শরণার্থী শিবির, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষ শিবির, মানসিক হাসপাতালের বন্দীদের আওয়াজ শুনিয়ে আসছে প্রায় বিশ বছর যাবৎ। এই সমস্ত জায়গায় তাদেরই ধরে রাখা হয় যারা একালের পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় খাপ খায়নি ঠিকঠাক। হয় তাদের থেকে কাম্য উৎপাদন তারা যোগাতে পারেনি নতুবা তারা তা করতে চায়নি। প্যারিস বিমানবন্দরের পরেই মেলিন আমেলো’র শিবিরের এক মহিলা, পুলিশের দেওয়া স্যানিটরি ন্যাপকিন ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বন্দীরা মরিয়া হয়ে জরুরী বিভাগের কাউকে তলব করতে থাকেন। দেশে ফেরার জন্য কোভিড টেস্ট করাতে না চাওয়ায় তাদের উপর বেজায় খাপ্পা পুলিশ প্রশাসন।

সুপ্রভাত ম্যাডাম। ফোন করার জন্য শুকরিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক?

আজ কি বিশেষ কিছু বলার জন্য ফোন করেছেন?

হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন। পুরোটা খুলে বলুন। আমরা শুনছি।

১৯৮১ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ফ্রান্সের ফ্লোরি মেরোগিস কারাগারের নিশ্ছিদ্র প্রহরার মাঝে আচমকা, বিনা রক্তপাতে, সকাল ১০ টা ৫০ এ আরো কিছু সহবন্দীর সাথে একটি হেলিকপ্টারে করে পালান সার্জ ক্যুতেল। পরে ফের ১০ বছরের বন্দী জীবনে লেখা সেদিনের রুদ্ধশ্বাস আজাদির আখ্যান ‘লাঁভোলি’র নামভূমিকায় সম্প্রচারিত এই বেতার অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব তাই শুরু হয় হেলিকপ্টারের আওয়াজ দিয়ে।

খিঁচুনি?

কেমন আছেন তারা?