সৌরভ প্রকৃতিবাদী, পাঁচলা, ৫ অক্টোবর#

পরিবেশ সচেতনতার পাঠ এখন স্কুল পাঠ্য বইয়ের অংশ। বিজ্ঞান বইতে বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে পড়ানো হয় পরিবেশের নানা বিষয়। তবে কোন শিক্ষাই তো শুধু পড়ে পড়ে সম্পূর্ণ হয় না, যতক্ষণ না চোখে দেখে কাজে করে অনুভব করা যায়, তাই বিভিন্ন সময় পরিবেশ পড়াতে পড়াতে চেষ্টা করেছি ছোট গুলোকে নিয়ে একটু বাইরে বেরোনোর, একটু হাতে কলমে কাজ করার। এমন বেশ কিছু প্রচেষ্টার একটা হল গাছ লাগানোর উদ্যোগ।
হাওড়ার পাঁচলায় জয়নগর পল্লিশ্রী বিদ্যানিকেতনের ক্লাস ৭, ৮, ৯ এর খ বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে সবথেকে বেশি উৎসাহ দেখে ওদের নিয়েই কাজটি করা হয়। সেপ্টেম্বরে, বর্ষার শেষ ভাগে কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল, বর্ষার শুরুতে দেশীয় গাছের চারা প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়, সেগুলি ১ মাস মতো বড় হলে তাদের সংগ্রহ করে আশপাশের গ্রামে বসানো। ছোটরা নিজে হাতে দেশীয় গাছ ও বহিরাগত গাছ চিনতে পারল, কোন গাছের কি প্রভাব জানতে পারলো, গাছের চারা সংগ্রহ করার পদ্ধতি জানতে পারলো। সেপ্টেম্বর মাসের ২০ এবং ২৭ তারিখে এই কাজটি করা হয়।
ওরা এবছর মুলত আম, কালোজাম, কাঁঠাল, গাব, আঁশফল, সবেদা, লাল পেয়ারা, তেঁতুল গাছের চারা জোগাড় করতে পেরেছে। আমরা দুই দিনে প্রায় ১০০ চারা গাছ লাগাতে পেরেছি।
গাছ লাগানোর পর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিচর্যার অভাবে চারাগাছ মারা যায় অথবা গরু, ছাগলে মুড়িয়ে দিয়ে যায়। এই জন্য আমরা জয়নগর, সন্ধিপুর, সুলাটি এই তিনটি গ্রামে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে একটা করে গাছের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলি, যারা রাজি হন তাদের দেখিয়ে দেওয়া জমি তে গাছ লাগিয়ে দিয়ে আসি।
এই গ্রাম গুলি থেকে আমাদের স্কুলে ছেলে মেয়েরা পড়তে আসে তাদের অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়ে যায় রাস্তায়, তারাও সঙ্গ নেয়, কিছু সদ্য প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও চলে আসে, আমরা দুই দিন ই জনা ২০-২৫ এ শুরু করলেও শেষ করি প্রায় ৫০-৬০ জন এ।