খায়রুন্নেসা, ষোলোবিঘা, রাইট ট্র্যাকের কর্মী, ২৭ নভেম্বর#
রাইট ট্র্যাক এখানে তেরো বছর ধরে কাজ করছে। আমরা যখন আসি, তখন এখানে ৮৫০-৯০০ মতো পরিবার ছিল। এখানে রাস্তা কিছু ছিল না। বছরে তিনমাস জায়গাটা জলে ডুবে থাকত। এখন দু-হাজার পরিবার আছে। এখানে কোনো সরকারি পরিষেবা ছিল না। স্কুল কী জিনিস, এরা জানত না। মায়েদের বুঝিয়ে বুঝিয়ে রাইট ট্র্যাকই প্রথম এখানে শিক্ষার আলো পৌঁছায়। প্রথমে এখানে আমরা বাচ্চাদের নন-ফর্মাল এডুকেশনে পড়াতাম। ওদের প্রাথমিক ভিতটা তৈরি করতাম। তারপর যখন মেইনস্ট্রিম বা ফর্মাল এডুকেশন করাতে গেলাম, ষোলোবিঘার বাচ্চা শুনলে ওরা তাড়িয়ে দিত, কোনো স্কুলে নিত না। বলত, ‘অবৈধ বস্তি, এখানে সব চোর-ডাকাত বাস করে। ওদের বাচ্চারাও চোর-ডাকাত হবে।’ এরা ওদের স্কুলে ভালো বাচ্চাদের সঙ্গে পড়তে পারবে না। এই ধারণাটা তখন ছিল। কিন্তু আমাদের কাজ ছিল সবাইকে বোঝানো। আজ রাইট ট্র্যাকের হাত ধরে এখানকার বাচ্চারা মাধ্যমিক দিচ্ছে। এখনকার যিনি ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপিকা দত্ত আমাদের মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করেন। মিথ্যা বলব না।