- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

মন্থন সাময়িকী-র মার্চ-এপ্রিল ২০১৩ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে

এই সংখ্যায় রয়েছে ঃ~ (সংগ্রহ করুন কলকাতার কলেজ স্ট্রীটের পাতিরাম, বুকমার্ক, বইচিত্র, পিবিএস; রাসবিহারী বুক স্টল; যাদবপুরের জ্ঞানের আলো; ডালহৌসির কোলে, পোদ্দার; বেহালার তিওয়ারি প্রভৃতি স্টলের থেকে। অথবা যোগাযোগ করুন : জিতেন নন্দী (৯১-৩৩-২৪৯১৩৬৬৬; email : nandi123an@bsnl.in))

সম্পাদকীয় : আমাদের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ 

এক সাহিত্যসভায় একজন বন্ধু সেদিন বললেন, ‘সাপ গর্তের ভিতর থাকাই ভালো’. প্রসঙ্গটা ছিল বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলন। কথাটা অর্থবহ এবং একটা স্পষ্ট মতও বটে।

আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অপরের প্রতি যে বিদ্বেষ-বিষ থাকে, তা মনের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকাই ভালো, তাকে টানাটানি করে বাইরে নিয়ে আসা বিপদের। কিন্তু আমাদের কোনো রিপু বা প্রবৃত্তিকে কি চিরতরে মনের গহনে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায়? ভালোবাসা, সহযোগিতা, সহনশীলতা, বন্ধুত্ব, সহমর্মিতা ইত্যাদি বোধের পাশাপাশি ঘৃণা, প্রতিযোগিতা, অসহিষ্ণুতা, শত্রুতা, লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতার বোধ আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমরা কি ইচ্ছা করলেই সেগুলোর কোনোটাকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারি? পারি না।

বরং আমরা সেগুলো সম্বন্ধ সজাগ থাকতে পারি, সমাজের পাঁচজনের মধ্যে মেলামেশার মাধ্যমে সেগুলোকে ……

 

আখতার হোসেন : কিছু স্মৃতি, কিছু কথা

আখতার সাহেব সম্পর্কে কিছু লিখতে বসে এত পুরোনো কথা, পুরোনো স্মৃতি মনে ভিড় করছে — কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি   — ঠিক করাই সমস্যার, মুশকিলের। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৪ সালের ভ্রাতৃঘাতী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পটভূমিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় বাধ্য হয়ে মহাত্মা গান্ধী রোডের মেসবাড়ি ছেড়ে প্রথমে গার্ডেনরীচের ফতেপুর ভিলেজ রোড (হরিমোহন ঘোষ কলেজের পিছনে), পরে রাজাবাগান ডকইয়ার্ডের সামনে এবং শেষে বটতলার কানখুলি রোডে কোরবান থান্দারের গ্যারেজে (সিকসেন কোম্পানি) আমার থাকার ব্যবস্থা। তখন স্থানটা ওই নামেই পরিচিত ছিল।

‘কোরবান আলি অ্যান্ড সন্স’ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তখন ভারতীয় রেলের কর্মচারীদের এবং ……

স্থিতাবস্থা বনাম উন্মত্ত ১৩ দফা, এক নব্বই-ঊর্ধ্ব ধর্মগুরু এবং ক্রুদ্ধ যুবকেরা

হেফাজতে ইসলামের লঙ মার্চ ও ঢাকা অভিযানের পর সারা দেশ এখনও স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। হেফাজতে ইসলাম হল দেশ জুড়ে কয়েক হাজার মাদ্রাসার[1] একটি পিণ্ড। এরা তাদের ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য লঙ মার্চের কর্মসূচি নিয়েছিল। তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে :

১.   সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী সব আইন বাতিল।

২.   আল্লাহ, রাসুল সা. ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।

৩.   কথিত শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী সা.-এর নামে জঘন্য কুৎসা …


[1] সম্পাদকের নোট : ১৯৭৫ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করেন, তার আগে বাংলাদেশে সরকারি মাদ্রাসা ছিল ১,৯৭৬টি এবং ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩,৭৫,০০০। ২০০২ সালের মধ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫,৬৬১ এবং ছাত্রসংখ্যা ২৮,২৪,৬৭২. মাঝে দুই সামরিক একনায়কের শাসনকালে সেকুলার শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাকেও যথেষ্ট উৎসাহদান করা হয়। ওই দুই শাসক বেসরকারি কওমি মাদ্রাসা বৃদ্ধিকেও উৎসাহিত করেন। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম দেওবান্দের শিক্ষাক্রম এগুলিতে অনুসরণ করা হয়। কওমি মাদ্রাসার সংখ্যার কোনো সরকারি হিসেব নেই। বেসরকারি মতে বাংলাদেশে প্রায় ১৫,০০০ কওমি মাদ্রাসা রয়েছে, ছাত্রসংখ্যা আনুমানিক ২০ লক্ষের বেশি। সূত্র : ইন সার্চ অব অ্যান আইডেনটিটি: দি রাইজ অব পলিটিকাল ইসলাম অ্যান্ড বাংলাদেশি ন্যাশনালিজম্‌, লামিয়া কারিম।

শাহবাগ আন্দোলনের রেশ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়বে

আনিস রায়হান : নির্বাচনী রাজনীতি তো এখন ঘনীভূত। কোন দিকে পরিস্থিতি এগুচ্ছে?

আনু মুহাম্মদ : এখন যা কিছু ঘটছে, সহিংসতা, হামলা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই। মূল সমস্যাটা হচ্ছে, বাংলাদেশের যে শাসকশ্রেণী, তারা নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া এখনও দাঁড় করাতে পারেনি। আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নটা এখনও অমীমাংসিত। উচিত ছিল এই দুটো প্রশ্ন অনেক আগেই সমাধান করে ফেলা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে দ্বিমতের কোনো সুযোগ নেই। এই বিচারটা অনেক আগেই শাসকশ্রেণীর বড়ো দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে সেরে ফেলা দরকার ছিল। তেমনি নির্বাচন কীভাবে হবে, কীভাবে একদল ক্ষমতা ছাড়বে অন্যদল আসবে এটারও একটি পদ্ধতি বের করার দরকার ছিল। এই দুটো প্রশ্নের সমাধান হয়নি। তাই ঘুরেফিরে আমরা পুরনো একই সংকটের ……

এখনও বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয়নি, তুমি কথা বলো!

অবশেষে মাননীয় আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, গোয়েন্দা পুলিশ এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে আমার হত্যা-চেষ্টার তদন্তের ফলাফল নিজ উদ্যোগেই জানতে চেয়েছেন এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে একটি রুল জারি করেছেন। মাননীয় আদালতকে এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, সরকারের বিরুদ্ধে নানা আন্দোলনের কারণে সরকার বাহাদুর সম্ভবত আমার উপরে ভালো পরিমাণই বিরাগভাজন হয়েছে, এবং তারা যা পরিকল্পিতভাবেই ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল, মাননীয় আদালত তা জানতে নিজেই সরকারকে তলব করেছেন।

যেহেতু আওয়ামি ঘরানার মানুষ নই, কট্টর আওয়ামিপন্থী ব্লগারদের অনলাইন জোটের অন্যতম চক্ষুশূল বলেই আমি পরিচিত, তাই আমাকে হত্যার চেষ্টার সময় সরকার থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা আমি পাইনি, এমনকী আমার মামলাটি তারা আমলেই নেননি। কিছু সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমার ওপরে বর্বর ……

নাস্তিকরাই কেন বার বার

আসিফ মহিউদ্দিন ছুরিকাহত হলেন, আমরা বললাম ছবির হার্টের গণ্ডগোল এর কারণ হতে পারে, এ নিছক ব্যক্তিগত শত্রুতা, ওর বন্ধুদের কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। আর তাছাড়া, আসিফ ছেলেটা খালি ‘আমি আমি’ করে, ওকে তো ইচ্ছা হয় আমিই ধরে মারি, যে মেরেছে তার আর দোষ কী? এরপর, ‘থাবা বাবা’ রাজীবের পালা, আমাদের মনে হল ওই ‘কুৎসিত’ লেখাগুলো না লিখলেই পারতেন, ওইসব পড়ে আমারই তো কুৎসিত লেগেছে, ছিঃ! এরপর, সানিউর রহমান ওরফে নাস্তিক নবী, তার কাজকারবার তো আরও ভয়াবহ, আর তাছাড়া সে তো ব্লগার না, কোনো কালে বোধহয় ছিলেন, কিন্তু এখন তো আর নেই, সো, তার দায় আমরা নেব কেন? মোটাদাগে এই হল, ফেসবুক-ব্লগে যাদের মোটামুটি প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন হিসেবে জানতাম তাদের প্রতিক্রিয়ার সারমর্ম। আমাকে বিষয়টা একদিকে যেমন ব্যথিত করেছে, তেমনি একটা প্রশ্নও মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, একের পর এক ধর্মে অবিশ্বাসী ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্‌টিভিস্টরাই …

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামির রাজনীতি

সম্প্রতি বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’-র বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতার গ্রেপ্তারি, বিচার এবং তিনজনের শাস্তির আদেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় এক দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই প্রতিবাদের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ দলটি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্য দেশ, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে এর সমর্থনে যে সংগঠিত কর্মসূচি দেখা গেছে, সেখানেও ‘জামায়াতে ইসলামি হিন্দ’-এর সক্রিয় ভূমিকা সকলেরই চোখে পড়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের এক বড়ো অংশের মানুষ জামায়াতে ইসলামি এবং তার রাজনীতি সম্পর্কে অবহিত নয়। ইসলামকে আমরা জানি একটা ধর্ম হিসেবে, রাজনৈতিক ইসলাম সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই।

     বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ সর্ববৃহৎ ইসলামি রাজনৈতিক দল। এছাড়া আরও ২৪টি ইসলামি রাজনৈতিক দল সেখানে রয়েছে, যারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়। এছাড়াও রয়েছে শতাধিক ইসলামি দল ও গোষ্ঠী, যাদের রাজনীতি ছাড়াও …

গ্রেফতার হওয়ার আগে গোলাম আযমের বক্তব্য

বাংলাদেশে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যে সেকুলার সরকার কায়েম হয়েছে, তারা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের চরম বিরোধী। তাই তারা বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতিকে বেআইনি ঘোষণা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জঘন্য উদ্দেশ্যেই ১৯৭৩ সালের মীমাংসিত যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর দোহাই দিয়ে জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে তাদের মনগড়া ট্রাইবুনালে এক জংলি আইনে বিচার করে শাস্তি দেওয়ার চক্রান্ত করছে।

ওই আইন অনুযায়ী গঠিত তদন্ত সংস্থা আমার বিরুদ্ধে ৬২টি অভিযোগ এনেছে। জেলে নেওয়ার পর একতরফা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার বন্যা বইতে থাকবে। আমার কোনো বক্তব্য জনগণের নিকট পৌঁছাবার সামান্য সুযোগও থাকবে না। তাই গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথেই যাতে আমার বক্তব্য জনসাধারণ অবগত হতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই আমি আমার এ বক্তব্য পেশ করছি। সম্প্রতি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল আমার সাক্ষাৎকার …

বাংলাদেশের ব্লগারদের খোলা উঠোন

ক্ষমতার খেলাঘর শক্তিশালী গণমাধ্যমের বিপরীতে ইন্টারনেট যে একটা খুবই শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম, তা বেশ কয়েকবছর আগেই বোঝা গেছিল। ইন্টারনেট সামাজিক কথোপকথনের একটা জায়গা, নিজের কথা অন্যের কাছে পৌঁছে দেবার বন্দোবস্ত। এবং এই পরিসরে বাস্তব সমাজে মাতব্বর যারা, তাদের মাতব্বরি তুলনায় কম। কোনো এক সাধারণ মানুষও তার কথাটা একটু গুছিয়ে যদি বলতে পারেন, তাহলে শ্রোতা পাওয়া যাবে। বড়ো মিডিয়া — টিভি বা দৈনিক সংবাদপত্র বা বড়ো ম্যাগাজিনে যুগ যুগ ধরে যেভাবে তালেবড়, মাতব্বর আর পারদর্শীদের কথাই শোনা যায়, ইন্টারনেট তার থেকে আলাদা। কেউ পারদর্শী বা মাতব্বর বা এমনকী খুব সঠিক না হয়েও তার কথা প্রকাশ করতে পারে ইন্টারনেটে। টিভি, রেডিও বা সংবাদপত্রে একবার একটা কথা প্রকাশ পেলে তার ক্ষমতা অনেক বেশি। কারণ একটি প্রোগ্রাম লক্ষ লক্ষ লোক দেখা বা শোনার রেডিমেড বন্দোবস্ত ……

একটি শ্রমজীবী শিক্ষাভাবনা

পুঁজিবাদ দ্বারা প্রোথিত স্বার্থান্বেষী অভিমুখ থেকে সরিয়ে সাম্যবাদ গড়ার আরও উদার প্রেক্ষিতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মনুষ্য সমাজকে সমাজবাদের শিক্ষায় এই দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্শিক্ষিত করা প্রয়োজন।

কার্ল মার্ক্স

ব্যারি বুরক-এর মার্ক্সীয় শিক্ষাভাবনার বিশ্লেষণ

মার্ক্সীয় দর্শনের সারবত্তা থেকে বোঝা যায় যে চেতনা জীবনের মূল নয়, জীবন চেতনার মূলে। মানুষের চেতনা তার জাগতিক কার্যকলাপেরই ফলশ্রুতি, তেমনি মার্ক্সের লেখা থেকে এও সুস্পষ্ট, আমরা যে সংস্থান নির্মাণ করি, যে দর্শন মেনে চলি, যুগের চিন্তাধারা থেকে সমাজ, সংস্কৃতি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তা সমাজের অর্থনীতি দ্বারা নির্ধারিত হয়। রাজনীতি, আইন-ব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে পরিবার এবং শিক্ষা শেষ অবধি সমাজের শ্রেণীবন্টনের ওপর নির্ভর করে, যা আবার সমাজের অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। অর্থনীতির ভিত্তিপ্রস্তরে দাঁড়িয়ে সমাজ নামক যে মহাকাঠামো, তারই একটি অংশ শিক্ষাব্যবস্থা। সমাজের শ্রেণীকাঠামোর দাস সে। তার মানে এই নয় যে শাসকশ্রেণীর ক্ষমতা কায়েম রাখার উদ্দেশ্যে ঘোর কোনো ষড়যন্ত্র ‘শিক্ষাব্যবস্থা’. কিন্তু সমাজের গড্ডালিকা ও মানব-প্রবণতার চাপে, শ্রেণীবৈষম্যের অবয়বে পরিবর্তিত সে, সমাজে মানিয়ে চলার ……

মেমারিতে আলুচাষের অভিজ্ঞতা

আমি কালনা থেকে অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স নিয়ে ১৯৮৫ সালে পাশ করেছি। হঠাৎ বাবা-মা একসঙ্গে মারা যাওয়াতে মাস্টার ডিগ্রি আর হয়নি। চোদ্দো বছর দাদার সঙ্গে চাষ করেছিলাম। দাদা, আমি আর আমার ভাই, যৌথ পরিবার ছিল। তারপর দাদা মারা গেলেন। এরপর যা হয় সংসারে, তিন ভাই আলাদা আলাদা। বাবার ত্রিশ-বত্রিশ বিঘা মতো জমি ছিল। সেটা তিন ভাগ হয়ে গেল। আমার দুই মেয়ে। তাদের পড়াশোনা শিখিয়ে বিয়ে-থা দিতে কিছু সম্পত্তি বেচতে হল। বিয়েতে ক্যাশ দিতে হয়নি। তবে খরচখরচা সোনা-টোনা তো দিতে হয়। আমার এখন পাঁচ বিঘায় চাষ।

ফলন বেড়েছে সামান্য, খরচ বেড়েছে অনেক

এবারে আমি সাড়ে তিন বিঘেতে আলু চাষ করেছি আর দশ কাঠায় সর্ষে দিয়েছি। বোরো চাষ করি না, ঠিকে-ভাগে দিই এক বিঘে। বর্ষার চাষ আমনটা ……

চিঠিপত্র   

২০১২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসেব